AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: পুজোর আগে মাথায় হাত চা শ্রমিকদের, সকালে কাজে এসে দেখলেন…

Tea Garden Closed: আনিশা ওরাওঁ নামে এক চা শ্রমিক বলেন, "বাগানে কাজ করেই আমাদের সংসার চলে। আমরা কেন ম্যানেজারকে মারধর করব? আমরা চাই, আমাদের টাকা মিটিয়ে দিক। এবং চা বাগান আবার খোলা হোক।"

Jalpaiguri: পুজোর আগে মাথায় হাত চা শ্রমিকদের, সকালে কাজে এসে দেখলেন...
বন্ধ হয়ে গেল চা বাগান (ফাইল ছবি)Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2025 | 12:56 PM
Share

নাগরাকাটা: দুর্গাপুজোর আর একমাসও বাকি নেই। তার আগে হঠাৎ মাথায় হাত পড়ল জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার বামনডাঙা চা বাগানের শ্রমিকদের। বন্ধ হয়ে গেল চা বাগান। কর্মহীন হলেন ১৪০০ শ্রমিক। শনিবার কাজ করতে এসে চা বাগানের গেট বন্ধ দেখে হতবাক হয়ে যান শ্রমিকরা। এই নিয়ে তাঁরা সরব হয়েছেন।

কয়েকদিন আগেই চা বাগানের শ্রমিকদের ২০ শতাংশ হারে পুজো বোনাস দেওয়ার নির্দেশিকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছিল বাগানে। কিন্তু নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা বাগানে স্বস্তির বদলে নেমে এল অন্ধকার। কারণ শুক্রবার বন্ধ করে দেওয়া হল চা বাগানটি। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ১৪০০ জন শ্রমিক এই বাগানে কাজ করতেন।

এ দিন শ্রমিকরা কাজে এসে দেখতে পান, চা বাগানের গেট বন্ধ। বাগানের ম্যানেজার-সহ অন্যরা উধাও। জানতে পারেন, মালিকপক্ষ প্রশাসনকে বাগান বন্ধের লিখিত নোটিস দিয়ে বাগিচা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত সমস্যা।

এ দিন বাগানের ম্যানেজার সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নাগরাকাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, শ্রমিকরা তাঁকে হেনস্থা করেন। বাগানের টন্ডু ডিভিশন থেকে অফিস পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তা গাড়িতে উঠতে না-দিয়ে গালিগালাজ করে তাঁকে হাঁটিয়ে আনা হয় বলেও দাবি ম্যানেজারের।

তবে ম্যানেজারের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন চা শ্রমিকরা। আনিশা ওরাওঁ নামে এক চা শ্রমিক বলেন, “বাগানে কাজ করেই আমাদের সংসার চলে। আমরা কেন ম্যানেজারকে মারধর করব? আমরা চাই, আমাদের টাকা মিটিয়ে দিক। এবং চা বাগান আবার খোলা হোক।”

সূত্রের খবর, চা বাগানের শ্রমিকদের ১৫ দিনের মজুরি বকেয়া ছিল। তা নিয়ে সমস্যা চলছিল। প্রশ্ন উঠছে, এই কারণেই কি বন্ধ করে দেওয়া হল বাগান? তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন বলছে, এক সপ্তাহের মধ্যে যাতে বাগান খুলে যায়, তার চেষ্টা করছে তারা।