AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিমানে করে দিল্লি যাচ্ছেন জব কার্ডধারী তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা! ছবি ছড়াতেই খোঁচা বিরোধীদের

১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব, সাংসদ, বিধায়ক, ছাড়াও পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরের সদস্যরাও যাচ্ছেন দিল্লিতে। এ ছাড়াও জব কার্ড হোল্ডাররা দিল্লিতে যাচ্ছেন বিক্ষোভে সামিল হতে। সেখানেই যোগ দিতে পঞ্চায়েত সদস্যদের বিমানে করে যাওয়া নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।

বিমানে করে দিল্লি যাচ্ছেন জব কার্ডধারী তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা! ছবি ছড়াতেই খোঁচা বিরোধীদের
বিমানে করে দিল্লিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরাImage Credit: facebook
| Edited By: | Updated on: Sep 30, 2023 | 9:46 PM
Share

ধূপগুড়ি: ১০০ দিনের কাজের টাকা আনতে বিমানে করে দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা দিতে ছাড়ল না বিরোধীরা। জলপাইগুড়ি জেলার সাকোয়াঝোরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ মোট পাঁচজন বিমানে করে দিল্লি গিয়েছেন। সেই ছবি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টও করেছেন তাঁরা। তা ঘিরেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। ওই নেতাদের কটাক্ষ করেছে সিপিএম এবং বিজেপি।

১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব, সাংসদ, বিধায়ক, ছাড়াও পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরের সদস্যরাও যাচ্ছেন দিল্লিতে। এ ছাড়াও জব কার্ড হোল্ডাররা দিল্লিতে যাচ্ছেন বিক্ষোভে সামিল হতে। সেখানেই যোগ দিতে পঞ্চায়েত সদস্যদের বিমানে করে যাওয়া নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ১০০ দিনের কাজ করা জব কার্ডধারীরা কী করে বিমানে চড়ছেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কোথা থেকে এই খরচের টাকা আসছে সে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি ও সিপিএম।

এ বিষয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “নেতারা যখন প্লেনে যাচ্ছেন, তখন বাকি লোকেদের কেন বাসে পাঠাচ্ছেন? বাকিদেরও চার্টার্ড বিমান দিতে পারত। কোটি কোটি কালো টাকা আছে। খরচ করতে পারছে না। ব্যাঙ্কেও রাখতে পারছে না। যারা দিল্লি যাচ্ছে তারা কি ১০০ দিনের কাজের লোক? আগে এদের সকলের জব কার্ড সিজ করা উচিত। এরা সব নকল জব কার্ড করেছে। যারা গরিব মানুষ তাদের এনআরইজিএস-এর কাজ বন্ধ করছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার মিলে।”

ধূপগুড়ি বিধানসভার কনভেনার চন্দন দত্ত বলেছেন, “১০০ দিনের কাজের টাকা আনার জন্য বিমানে করে যাচ্ছে। তার মানে বেশি পরিমাণ চুরি করেছে। বেশি পরিমাণ চুরি করেছে বলেই আজকে বিমানে করে যাচ্ছে। আবার তারাই দাবি করছে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। কারা যাচ্ছে আন্দোলন করতে? একটাও শ্রমিক নেই। যারা যাচ্ছে তারা তৃণমূলের নেতা। আমরা আগেই বলেছিলাম তৃণমূলের বড় বড় নেতাদের কাছে জব কার্ড আছে। তারা জব কার্ড তৈরি করেছে তা আজ প্রমাণিত।”

তৃণমূলের সাকোয়াঝোরা ১ নং গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “আমি ১০০ দিনের জব কার্ডধারী। তাই দিল্লিতে আন্দোলনে যোগ দিতে যাচ্ছি। ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছি না বলে খুব কষ্টে রয়েছি সংসার চালাতে পারছি না।” তবে প্লেনে করে তিনি আন্দোলনে যোগ দিতে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, “মোদীবাবুর জন্য ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। তাই কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে প্লেনে করে যাচ্ছি।”