জলপাইগুড়ি: সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মাঝে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র। রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, রয়েছেন ভোট কর্মীরাও, কিন্তু নেই ভোটার। এদিন এমনই ছবি ধরা পড়ল ডুয়ার্সের মরাঘাট জঙ্গলের খট্টি মারি এফভি প্রাইমারি স্কুলে। বুথ নম্বর ১৫/৪৬। কিন্তু, সব আয়োজন থাকলেও কোথায় ভোটাররা?
ভোট কর্মীরা বলছেন জঙ্গলের মাঝে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র হওয়ায় আগেভাগেই বনবস্তিবাসী ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। যে কোনও সময় রাস্তায় চলে আসে বন্য প্রাণীরা। তাই আগেভাগেই ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ভোটাররা। এমনটাই দাবি ভোট কর্মীদের। ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলির স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন প্রায় প্রতিদিন রাতেই বন্যজন্তুরা লোকালয়ে বেরিয়ে আসে। কখনও স্কুল ঘর ভেঙে দেয়, কখনও বা মানুষের বাড়ি। যেই স্কুলে এবার ভোট গ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছে সেখানে বহুবার হাতি আক্রমণ করেছে।
সেই ভয় থেকেই আগেভাগেই নিরাপদে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ভোটাররা। এই বুথে ভোটার সংখ্যা ৩৭৯ জন। তথ্য বলছে দুপুর একটার মধ্যে প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছিল এই কেন্দ্রে। তাই কার্যত রিলাক্স মুডে কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে ভোট কর্মীরা। এই কেন্দ্রের ভোট কর্মী পীযূষ পাল বলেন, “জঙ্গলের মধ্যে এই বুথ হওয়ায় সবাই চাইছে ভোটটা তাড়াতাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে। বন্য প্রাণীদের আক্রমণের একটা ভয়ও থেকে যাচ্ছে। বন বিভাগ থেকেও কাল অনেকবার এসে আমাদের সতর্ক করে দিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে এখানে তো বেশি মহিলা ভোটার। তাই তাঁরা আগে ভোটটা দিয়ে নিয়ে বাড়ির কাজ করতে চাইছেন বিকালের দিকে। আজ তো দুপুর একটার মধ্যে ৩৭৯ ভোটারের মধ্যে ৩০৬ জনের ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তবে আমাদের তো ৬টা অবধি থাকতেই হবে। ওটাই আমাদের শিডিউল টাইম।”