জলপাইগুড়ি: মানভঞ্জন হল বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার। দিদির ছবি বুকে নিয়ে বললেন ‘আমি তো তৃণমূলেই আছি।’ জলপাইগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জলপাইগুড়ি জেলায় যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন। শহরে তিনি আদি তৃণমূল কর্মী হিসাবেই পরিচিত। কিন্তু এবার পুরভোটে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তাঁর নাম। এতেই দলের প্রতি তীব্র অভিমানে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নও দাখিল করার পরিকল্পনা নেন। অভিযোগ, মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। এরপরই সোজা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়টি নিয়ে দলের সভায় সরব হয়েছিলেন খোদ জেলা সভাপতি। বর্তমানে মামলাও চলছে। ভোট দোরগোড়ায়। এই অবস্থায় মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা জলপাইগুড়ি শহরে। তবে বৃহস্পতিবার আচমকাই সেসব জল্পনায় জল ঢাললেন বিক্ষুব্ধ নেতা নিজেই। তৃণমূলের মুখপাত্র দুলাল দেবনাথের চা চক্রে যোগ দিয়ে, দুলাল দেবনাথের সঙ্গে মিষ্টি মুখ করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বুকে নিয়ে মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব।”
মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলে ছিলাম এবং এখনও আছি। তবে হয়ত আমি পুরসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধি হলে কারও অসুবিধা হবে। তাই প্রার্থী তালিকা থেকে আমার নামটা বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে আমি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমেছি। আমাকে ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এখনও ডাকেনি। ডাকলে নিশ্চয়ই প্রচারে যাব।” তবে যে মামলা তিনি কলকাতা হাইকোর্টে ঠুকেছেন, সে সম্পর্কে স্পষ্ট জানান, মামলা মামলার মতো চলবে।
মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “আমি তৃণমূলে ছিলাম, তৃণমূলেই আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বুকে আছেন। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলটাই করি। আমার কাছে তৃণমূল ব্যাপার না, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি। উনি যখন যুব করতেন, আমিও যুব করতাম। আমি তো তৃণমূলের প্রতীকেই ভোটে লড়তে চেয়েছিলাম। এখন আমি ভোটে লড়লে হয়ত কোনও অসুবিধা হবে। প্রচারে অন্যান্য ওয়ার্ডে যাব। যে আমার কাছে জানতে চাইবে, আমি বলব তৃণমূলকে ভোটটা দিতে।”
মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ বলেন, “মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সকলের নেতা। তাই তাঁকে নিয়ে আমরা জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, মালবাজার এই তিনটি পুরসভায় প্রচার চালাব। তবে উনি যে মামলা করেছেন সেটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।”
আরও পড়ুন : Trinamool Congress: তৃণমূলের মিডিয়া প্যানেলে এবার কি সেলেব মুখ? শোনা যাচ্ছে সায়নী, জুন, সায়ন্তিকার নাম
আরও পড়ুন : Calcutta High Court: ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের নজিরবিহীন নির্দেশ দিল হাইকোর্ট