Jalpaiguri: কার ব্যর্থতায় প্রাণ গেল জলপাইগুড়ির প্রসূতির?

Prasenjit Chowdhury | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 25, 2025 | 10:49 AM

Jalpaiguri: মেদিনীপুরের প্রসূতিদের এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলেও এক্ষেত্রে কিডনি বিকল হওয়া রোগীকে কেন পাঁচদিন ডায়ালেসিস বন্ধ করে রাখা হল? এখানে পরিকাঠামো যদি নাই থাকে তাহলে সব জেনেও কেন নিয়ে য়াওয়া হল না কলকাতায়?

Jalpaiguri: কার ব্যর্থতায় প্রাণ গেল জলপাইগুড়ির প্রসূতির?
চাপানউতোর চলছে স্বাস্থ্য মহলের অন্দরেও
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: মেদিনীপুরের স্যালাইনকাণ্ডে অসুস্থ প্রসূতিদের কলকাতায় এনে চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। অথচ জলপাইগুড়ির অসুস্থ প্রসূতির ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ডায়ালেসিসের পরিকাঠামো নেই জেনেও কেন হাত গুটিয়ে থাকল স্বাস্থ্য দফতর? অবশেষে কী রোগীর মৃত্যুর পর ঘুম ভাঙবে প্রশাসনের? সেটাই এখন যেন লাখ টাকার প্রশ্ন। 

কী ঘটেছিল?

রিঙ্গেল ল্যাকটেট ব্যবহারের জেরে কিডনি বিকল হতে শুরু করেছিল এক প্রসূতির। জলপাইগুড়ি থেকে তাকে তড়িঘড়ি আনা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। শুরু হয় ডায়ালেসিস। কিন্তু এই মেডিকেল কলেজে ডায়ালেসিস ইউনিট এবং সিসিইউ আলাদা জায়গায়। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় দিন পাঁচেক আগে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীকে। ভেন্টিলেশন চলাকালে সিসিইউতে ডায়ালেসিসের বন্দোবস্ত না থাকায় গত পাঁচদিন ডায়ালেসিস বন্ধই ছিল ওই মহিলার। হু হু করে বাড়তে শুরু করে ক্রিয়েটিনিন। অবশেষে মৃত্যু হয়। 

ঠিক কী প্রশ্ন তুলে দিল এই মৃত্যু? 

কোভিডকালে বেশ কিছু পোর্টেবল ডায়ালেসিস যন্ত্র কেনা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে সিসিইউ ইউনিটে তা অমিল হলেও ছিল জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজেই। তাহলে মাত্র ৪৫ কিমি দূর থেকে কেন আনা গেল না এই যন্ত্র? মেদিনীপুরের প্রসূতিদের এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলেও এক্ষেত্রে কিডনি বিকল হওয়া রোগীকে কেন পাঁচদিন ডায়ালেসিস বন্ধ করে রাখা হল? এখানে পরিকাঠামো যদি নাই থাকে তাহলে সব জেনেও কেন নিয়ে য়াওয়া হল না কলকাতায়? বা কেনই বা বিকল্প ব্যবস্থা করা গেল না? প্রশ্নগুলি ঘুরছে স্বাস্থ্য মহলের অন্দরেই। চাপানউতোর চলছে রাজনৈতিক মহলে। 

মেডিক্যাল কলেজ এলাকার নাগরিক মঞ্চের নেতা দিবাকর চক্রবর্তী বলেন, “সিসিইউ-তে যন্ত্র নেই। কিন্তু কোভিডকালে একাধিক এই পোর্টেবল ডায়ালেসিস যন্ত্র ইউনিটে এসেছিল। তা ফেলে রাখা হয়েছে। আসলে অব্যবস্থার শিকার হল মেয়েটা।” সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “এটা পরিকল্পিত প্রাতিষ্ঠানিক খুন। খুনি স্বাস্থ্য দফতর। যন্ত্র পড়ে আছে। অথচ বিনা ডায়ালেসিসে রোগী সিসিইউ-তে পাঁচদিন পড়ে থাকল?” বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের দাবি, “উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। তার জ্বলন্ত উদাহরণ বেহাল পরিকাঠামো। পুলিশ প্রশাসনের কেউ অসুস্থ হলে মেডিক্যাল কলেজের বদলে নার্সিংহোমে যান চিকিৎসা করাতে।”

Next Article