AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Panchayat Elections: ভোটে এমন হয়! দুই জয়ী সিপিএম প্রার্থী এবং পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীদের হাতে বিজয়ের ‘শংসাপত্র’

Panchayat Elections: সূত্রের খবর, একই আসনে হেরে যাওয়া দুই তৃণমূল প্রার্থী মমিনা খাতুন ও নিরুপমা বর্মন রায়কে নতুন করে বিজয়ীর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে চলছে চাপানউতর।

Panchayat Elections: ভোটে এমন হয়! দুই জয়ী সিপিএম প্রার্থী এবং পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীদের হাতে বিজয়ের ‘শংসাপত্র’
ঘটনায় শোরগোল জেলার রাজনৈতিক মহলে
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2023 | 8:12 PM
Share

গয়েরকাটা: এক বুথে ৪ প্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে জয়ীর শংসাপত্র। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হয়েছে বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জয়ের শংসাপত্র পেয়েছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) ও সিপিএমের (CPIM) দু’জন করে প্রার্থী। সূত্রের খবর, ১১ তারিখ ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায় সাকোয়াঝোরা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাড়া এলাকার ১৪/১৯৯ পার্টের দুই সিপিএম প্রার্থী আলিজা বানু এবং সবিতা রায় জয়ী হয়েছেন। দুজনকে বিজয়ীর শংসাপত্রও দেওয়া হয় কমিশনের তরফে। জয়ের উল্লাসে মোতায়ারাও হন দুজনে। শংসাপত্র হাতে নিয়ে মিছিল করে বাড়িও ফেরেন। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় অত্যাচার। আসতে থাকা নানা ধরনের চাপ।

পুলিশ এসে তাঁদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট ফেরত চাইছে বলে অভিযোগ। হুমকি দিচ্ছে শাসকদলের লোকজন। আতঙ্কে তাঁরা এখন বাড়ি ছাড়া। ঘটনায় সবিতা রায় বলছেন, “পুলিশ বাড়িতে গিয়ে সার্টিফিকেট ফেরত চেয়েছে। তৃণমূলের লোকজনও গিয়ে নানারকম হুমকি দিতে শুরু করে। ভয়ে আমরা বাড়ি ছেড়েছি। এখন তীব্র আতঙ্কে রয়েছি।”  

সূত্রের খবর, একই আসনে হেরে যাওয়া দুই তৃণমূল প্রার্থী মমিনা খাতুন ও নিরুপমা বর্মন রায়কে নতুন করে বিজয়ীর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। বুধবার গভীর রাতেই এই সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁদের হাতে। যা নিয়েই তৈরি হয়েছে চাপানউতর। প্রশ্নের মুখে পড়েছে কমিশনের ভূমিকা। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সিপিআইএম নেতা বিরাজ সরকার বলেন, “প্রশাসনের তরফ থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। তারপর তা নিতে এখন প্রশাসনের তরফে থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ভয়ে এখন ওরা বাড়ি ছাড়া। শাসকদলের লোকেরাও হুমকি দিচ্ছে। আমাদের দলের কর্মীরা আতঙ্কিত। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। প্রয়োজনে আইনের সাহায্য নেব।”