ঝাড়গ্রাম: ১২ বছরের নাবালিকাকে জঙ্গলে টেনে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার এক বছর পর আদালতে দোষী সাব্যস্ত প্রতিবেশী যুবক। আসামিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়গ্রামের বিশেষ পকসো আদালত। সঙ্গে ওই দোষী সাব্যস্ত আসামির ৬ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি ভিক্টিম কমপেনসেশন ফান্ড থেকে ওই নাবালিকাকে ৩ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানা এলাকায়। সেদিন ওই নাবালিকা বাড়ির অদূরেই একটি জায়গায় জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ দেখতে গিয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময়েই ওই প্রতিবেশী অভিযুক্ত যুবক নাবালিকাকে ঝোপের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরী বাড়ি ফিরে গোটা ঘটনা তার মা’কে জানায় এবং তিনিও পরের দিন স্বামীকে গোটা বিষয়টি জানান। তারও একদিন পর অর্থাৎ, ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নাবালিকার পরিবার বেলপাহাড়ি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানায় এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশী অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতেই তদন্তে আরও গতে আনে পুলিশ। পকসো আইনের ৪ এবং ৫০৬ ধারা যুক্ত করা হয় মামলার সঙ্গে এবং সাত দিনের মধ্যে পুলিশ চার্জশিট জমা দেয়। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে চিকিৎসক-সহ মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। অবশেষে ঘটনার এক বছর পেরিয়ে দোষী সাব্যস্ত হল অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক। আসামিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৬ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।