Jhargram: ওর ভয়ে বুক কাঁপছে শিক্ষকদেরও, বাচ্চাগুলো পড়ার ফাঁকে এ দিক-ও দিকে দেখছে, ফের কি সে আসবে?
Jhargram School: এ প্রসঙ্গে শিক্ষক বঙ্কিম হাঁসদা বলেন, "শিক্ষক অনিতা মান্ডি বলেন, "আমাদের প্রচুর ভয় লাগছে। কারণ, এই বাঘটা স্কুলের সামনে এসেছিল। আবার পিছন দিকে চলে গেছে। এখন বলছে রায়কা পাহাড়ে আছে। আমাদের তো খোলা জায়গায় ক্লাস করাতে হয়। এখন যদি সামনে চলে আসে বাঘ তাহলে কী হবে?"
পুরুলিয়া: পরিস্থিতি বদলেছে। কখন না জানি সামনে চলে আসে সে। এই আতঙ্কে কার্যত সকলে। কিন্তু তারপরও কি পড়াশোনা বা নিত্য নৈমিত্তিক কাজ বন্ধ রাখা যায়? এক রাশ আতঙ্ক নিয়েই খোলা আকাশের নিচে ক্লাস চলছে। প্রায় দশ বছর ধরে এভাবেই খোলা আকাশে ক্লাস করছে পড়ুয়ারা। ভয়ের মধ্যেই ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
সম্প্রতি, বাঘিনীর আতঙ্কে কাঁপছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের একাংশ। বাঘিনীর খোঁজে যখন হিমশিম খাচ্ছে বনদফতর, সেই সময় এক রাশ আতঙ্ক নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে রাইকা পাহাড়তলির গ্রাম উদলবনি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘ দশ বছর ধরেই খোলা আকাশের নিচে স্কুল চালাতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। এই প্রাথমিক স্কুলে ৪৫জন ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করে। চারিদিকে পাহাড়। তার মাঝেই এই উদলবনি গ্রাম। আর পাশের গ্রাম থেকে ছাত্র ছাত্রীরা এই স্কুলে পড়াশোনা করতে আসে। যদি মাঝ রাস্তায় কোনও অঘটন ঘটে তাহলে কে দেখবে? ইতিমধ্যেই এই স্কুলটির পাশ দিয়ে ঘুরে গিয়েছে বাঘ।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষক বঙ্কিম হাঁসদা বলেন, “শিক্ষক অনিতা মান্ডি বলেন, “আমাদের প্রচুর ভয় লাগছে। কারণ, এই বাঘটা স্কুলের সামনে এসেছিল। আবার পিছন দিকে চলে গেছে। এখন বলছে রায়কা পাহাড়ে আছে। আমাদের তো খোলা জায়গায় ক্লাস করাতে হয়। এখন যদি সামনে চলে আসে বাঘ তাহলে কী হবে?”