AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: বিজেপি নেতার ছেলেকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, অভিযুক্ত কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের স্ত্রী

BJP leader's son beaten: তাঁর ছেলের প্রাণহানি হতে পারত বলে আশঙ্কা করে কাজল গোস্বামী বলেন, "ওখানে পৌঁছে দেখি, আমার ছেলেকে রক্তাক্ত করেছে। প্রচণ্ড মারধর করছে। কাউন্সিলর নিজে দাঁড়িয়ে মারধরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হয়তো আমি দেরিতে পৌঁছলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। আমার ছেলের প্রাণনাশ হতে পারত।"

Malda: বিজেপি নেতার ছেলেকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, অভিযুক্ত কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের স্ত্রী
কী অভিযোগ বিজেপি নেতার?Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2025 | 3:48 PM
Share

মালদহ: বাবা বিজেপির নেতা। গাজোলে শুভেন্দু অধিকারীর সভার জন্য প্রচার করে চলেছেন তিনি। সেই কারণে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্রকে তৃণমূল কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। তৃণমূল কাউন্সিলর তথা মালদহের ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর স্ত্রী কাকলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি ওই নেতা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কৃষ্ণেন্দুনারয়ণ চৌধুরী।

ইংরেজবাজারের বিজেপি ওই নেতার নাম কাজল গোস্বামী। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যও তিনি। তাঁর পুত্র সংবিদ গোস্বামী কলকাতার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগপত্রে কাজল লিখেছেন, গতকাল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁর পুত্র ইংরেজবাজার পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রামকৃষ্ণ মিশনের ধারে রাস্তায় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন। সেই সময় কয়েকজন এসে তাঁকে জোর করে কলার ধরে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের স্থানীয় ওয়ার্ড পার্টি অফিসে। অভিযোগ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলী চৌধুরী এবং তাঁর কয়েকজন অনুগামী তাঁকে মারধর করেন। মারধরে তিনি রক্তাক্ত হয়ে যান। পরে কাজল গোস্বামী পুলিশ সহ পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। সংবিদের মাথায়, মুখে আঘাত লেগেছে। কাজল গোস্বামীর অভিযোগ, আগামিকাল গাজোলে শুভেন্দু অধিকারী আসছেন। সেই নিয়ে তিনি প্রচারে ব্যস্ত। শুভেন্দুর সভার প্রচার করার জন্যই তিনি কাকলীর বিরাগভাজন হন বলে তাঁর অভিযোগ।

তাঁর ছেলের প্রাণহানি হতে পারত বলে আশঙ্কা করে কাজল গোস্বামী বলেন, “ওখানে পৌঁছে দেখি, আমার ছেলেকে রক্তাক্ত করেছে। প্রচণ্ড মারধর করছে। কাউন্সিলর নিজে দাঁড়িয়ে মারধরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হয়তো আমি দেরিতে পৌঁছলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। আমার ছেলের প্রাণনাশ হতে পারত। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে। রাজনৈতিক লড়াই হবে। তার জন্য বাচ্চা বাচ্চা ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারছে। এ কোন শাসন?”

তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আক্রান্ত সংবিদ বলেন, “কাকলি চৌধুরী আসার পর জিজ্ঞাসা করেন, তোর বাবার নাম কী? আমি বলি, কাজল গোস্বামী। তখন তিনি বলেন, বেশি বড় নেতা হয়েছে। পাড়াতে আমাদের বিরুদ্ধে সংগঠন তৈরি করবে? বলে আমার গালে থাপ্পড় মারেন। থাপ্পড় মারতেই থাকেন। তারপর বাকি ছেলেদের বলেন, এবার একে মার। তখনই আমাকে মারা হয়। আমার সঙ্গে ২-৩ জন বন্ধু ছিল। তাদেরও মারধর করে।”

Malda Bjp Leader Son Beaten

আক্রান্ত সংবিদ গোস্বামী

কাকলী চৌধুরীর বক্তব্য জানতে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কাকলীর স্বামী তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, “যেটা শুনেছেন, ওটা মিথ্যা। তৃণমূল পার্টি অফিসে কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এফআইআর করেনি কেন? এফআইআর করতে বলুন। এগুলো মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আমার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, বাবা- যেই হোক না কেন, পুলিশ তদন্ত করুক। আবার বলছি, পার্টি অফিসে কোনও ঘটনা ঘটেনি।” ইংরেজবাজার থানায় অবশ্য অভিযোগ দায়ের করেছেন কাজল গোস্বামী।