Malda: ৭০ বছরের বৃদ্ধ বিজেপি করেন, নাম বাদ পড়ল ঘর পাওয়ার তালিকা থেকে

Malda: শ্যামল বাবুর বিস্ফোরক অভিযোগ একাধিক বার তালিকাতে নাম থাকার পরেও এবার তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে শুধু রাজনৈতিক কারণে। কারণ তিনি এলাকায় সক্রিয়ভাবে বিজেপি করেন। এই বুথে বিজেপির মেম্বার রয়েছে।

Malda: ৭০ বছরের বৃদ্ধ বিজেপি করেন, নাম বাদ পড়ল ঘর পাওয়ার তালিকা থেকে
শ্যামলচন্দ্র শর্মাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2024 | 8:47 PM

মালদহ: গোটা রাজ্যজুড়ে আবাস যোজনার টাকা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। যাঁদের প্রয়োজন, ঘর পাওয়ার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে তাঁদেরই নাম। এবারও সেই একই অভিযোগ উঠল মালদহ থেকে। রাজনীতির শিকার এক বৃদ্ধ। বিজেপি করার ‘অপরাধে’ সত্তর উর্ধ্ব বৃদ্ধের নাম বাদ গিয়েছে আবাস যোজনার তালিকা থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলের আশ্রম পাড়ায়।

বৃদ্ধের নাম শ্যামল চন্দ্র শর্মা। বাড়ি মালদহর চাঁচল শহরের আশ্রম পাড়ায়। তাঁর রয়েছে ভগ্নপ্রায় মাটির ঘর। উপরে ভাঙা টালির চাল। রাতে কনকনে শীতের হাওয়া ঢোকে ভাঙা দেওয়ালের ফাঁক দিয়ে। চাঁচল সদর এলাকার সত্তর বছরের উর্ধ্ব শ্যামল শর্মা নিজের জীবনটা এই ঘরেই প্রায় কাটিয়ে দিলেন। পাকা ঘরের ইচ্ছা থাকলেও মাঝে বাধা আর্থিক প্রতিবন্ধকতা।

কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে আবাস যোজনা তালিকাতে নাম থাকার ফলে জীবনের শেষ লগ্নে এসে স্বপ্ন দেখেছিলেন হয়তো একটু আরামে পাকা ঘরে জীবনের বাকি সময়টুকু কাটাতে পারবেন। কিন্তু মাঝে দুর্নীতির অভিযোগে বন্ধ হয় আবাস যোজনার টাকা। পরবর্তীতে কিছুদিন আগে রাজ্য সরকারের আবাস প্লাসের সার্ভে শুরু হয়। তখনও দেখেন ঘর পাওয়ার খসরা তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে তাঁর। নেপথ্য রাজনৈতিক রঙ। কারণ তিনি দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী।

শ্যামল বাবুর বিস্ফোরক অভিযোগ, একাধিকবার তালিকাতে নাম থাকার পরেও এবার তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে শুধু রাজনৈতিক কারণে। কারণ তিনি এলাকায় সক্রিয়ভাবে বিজেপি করেন। এই বুথে বিজেপির মেম্বার রয়েছে। ব্লক প্রশাসনের যাঁরা এই সার্ভে করছেন তাঁরা টাকা কিংবা রাজনৈতিক রং দেখে করছেন বলেই অভিযোগ। শ্যামলবাবু বলেন, “আমি বিজেপি করি বলে আমার নাম বারবার করে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এখন তো তৃণমূল সরকার। ওরা কেন এমন করছে? আমার কাছে কেউ টাকার জন্য আসেনি। কারণ বিজেপি করি। তাই নাম বাদ দিয়েছে।” বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ শর্মার বলেছেন, ওই বৃদ্ধ সক্রিয় ভাবে বিজেপি করেন বলে তৃণমূল টাকা চাইতে ভয় পেয়েছে। আর টাকা নিতে পারেনি বলেই নাম বাদ গিয়েছে।

যদিও, এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব বলেছে, এক্ষেত্রে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই। প্রশাসন সবটা দেখে তালিকা তৈরি করছে। সমস্যা হলে ব্লকে অভিযোগ দায়ের করতে। সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।