Malda: রাজিকুল, সালেক, হাসমতরা এমন আচরণ করছে কেন? তল্লাশি চালাতেই স্তম্ভিত পুলিশ

Malda: গোপন সূত্রে আগেই খবর গিয়েছিল, বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশের কাছে। সেই মতো তাঁরা কৃষ্ণপুর এলাকায় হানা দেয়। এরপরই আটক হয় অভিযুক্ত তিন। তাঁদের তল্লাশিতে উদ্ধার হয় ৫০০ টাকার এ গ্রেডের জাল নোটগুলি। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জয়েনপুর এলাকার এক চোরাকারবারীর কাছ থেকে জালনোটগুলি নিয়ে আসছিল ধৃতরা।

Malda: রাজিকুল, সালেক, হাসমতরা এমন আচরণ করছে কেন? তল্লাশি চালাতেই স্তম্ভিত পুলিশ
কী করছে ওরা?Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2024 | 5:40 PM

মালদহ: কখনও সোনা, কখনও মাদক। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচার চলছেই। এবার উদ্ধার হল ৯৭ হাজার জাল নোট। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে মালদহে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম রাজিকুল শেখ ওরফে রাজু,সালেক শেখ,হাসমত শেখ। ধৃতরা প্রত্যেকেই বৈষ্ণবনগর থানা এলাকারই চকসেহেরদির ভাদুটোলা গ্রামের বাসিন্দা।

গোপন সূত্রে আগেই খবর গিয়েছিল, বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশের কাছে। সেই মতো তাঁরা কৃষ্ণপুর এলাকায় হানা দেয়। এরপরই আটক হয় অভিযুক্ত তিন। তাঁদের তল্লাশিতে উদ্ধার হয় ৫০০ টাকার এ গ্রেডের জাল নোটগুলি। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জয়েনপুর এলাকার এক চোরাকারবারীর কাছ থেকে জালনোটগুলি নিয়ে আসছিল ধৃতরা। তাদের সঙ্গে কালিয়াচক থানা এলাকার গোলাপগঞ্জের আর একজন বাসিন্দা ছিল। তার কাছে আর‌ও এক লক্ষ টাকার জালনোট ছিল। কিন্তু পুলিশকে আসতে দেখেই সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে সকলেই। তিনজন ধরা পড়ে গেল বাকি দুইজন ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সক্ষম হয়। তবে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত রাজিকুল ওরফে রাজু বেদরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা কংগ্রেস নেতা সিটু শেখের মাসতুতো ভাই। এছাড়াও সালেক সিটুর খুরতুতো ভাই। সকলেই প্রধান সিটুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। উল্লেখ্য, রাজিকুল এলাকায় সমাজ বিরোধী হিসেবে পরিচিত। এর আগেও সে খুনের অভিযোগ এবং জাল নোটের মামলায় জেলে ছিল। সে জামিনে মুক্ত ছিল। কিন্তু তারপরেও তার উপদ্রব কমেনি। ছিনতাই চোরাচালান সহ একাধিক কাজে যুক্ত সে। স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, “রাজিকুল ওরফে রাজু বরাবরই খারাপ। সে বিভিন্ন সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় অশান্তি হলে তার নামই আগে থাকে।” যদিও অভিযুক্তের স্ত্রী নিভা বিবি জানিয়েছেন, “রাজু জালনোট পাচারের সঙ্গে যুক্ত তা জানতাম না। কিছুদিন আগে আমি বিয়ে করেছি। সে আমাকে জানিয়েছিল সে বালিপাথরের ব্যবসা করে।”