Malda: যখন-তখন জ্বলে উঠছে আগুন! এক-দুটো বাড়িতে নয়, গোটা গ্রামের সব বাড়িই জ্বলে উঠছে মাঝেমধ্যে, পুড়ে খাক সব! কারণ জেনে অবাক বিজ্ঞান মঞ্চও
Malda: প্রথম দিকে সন্দেহ হয়, কেউ হয়তো আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এরপর দফায় দফায় সইবুর রহমান, মহম্মদ নুহু ও সাদিকুল হকের ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গত চারদিন ধরে এই ঘটনা টানা ঘটেই চলেছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ভিড় জমাতে শুরু করেন।

মালদহ: অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড। ঘরের মধ্যে যখন তখন লেগে যাচ্ছে আগুন। নিজে নিজেই ধরে যাচ্ছে একের পর এক বাড়িতে আগুন। আতঙ্কে ভুগছে গোটা গ্রাম। ঘর ছাড়া চার – পাঁচটি পরিবার। কোনও ভৌতিক কাণ্ড বলে ধরে নিয়ে গ্রামে করা হচ্ছে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতলপুর গ্রামের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ভয়ে জবুথবু গোটা গ্রাম। কী কারণে এভাবে আগুন ছড়াচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। অবিশ্বাস্য এই ঘটনা, না দেখলে বিশ্বাস হবে না কারোরই। ভূতুড়ে এই ঘটনার জেরে আতঙ্কে রাত জেগে প্রহর গুনছেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে এই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা দিনমজুর জিয়ারুল হকের খড়ের গাদায় প্রথম আগুন লাগে।
প্রথম দিকে সন্দেহ হয়, কেউ হয়তো আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এরপর দফায় দফায় সইবুর রহমান, মহম্মদ নুহু ও সাদিকুল হকের ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গত চারদিন ধরে এই ঘটনা টানা ঘটেই চলেছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ভিড় জমাতে শুরু করেন। কারও কাপড়চোপড় পুড়ে গিয়েছে,কারও বিছানা,মশারি ও বাক্স এমনকি ঘরের বেড়ায় আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস ও ব্লক প্রশাসন। আগুনের উৎস খোঁজার চেষ্টা করে তাঁরা।
সইবুর রহমান বলেন, “কী করে আগুন লাগছে কিছুই বুঝতে পারছি না। খড়ের গাদা ও বাড়ির বাক্সে থাকা কাপড়চোপড়ে নিজে নিজেই আগুন ধরে যাচ্ছে। দিনে পাঁচ থেকে সাত বার বিক্ষিপ্ত ভাবে দফায় দফায় আগুন লাগছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই রকম ঘটনা ঘটছে। রাতে আবার আগুন ছড়ায় না। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে চারটি পরিবার প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।”
যদিও পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের দাবি, “এটা কোনও অলৌকিক ঘটনা নয়। এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। লিথিয়াম বা মিথেন গ্যাসের কারণে এই ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। তবে সরজমিনে তদন্ত না করে সঠিকভাবে বিষয়টি বলা যাবে না।”
