Malda Murder: বিট কয়েন কেলেঙ্কারিতে যুক্ত ছিল আসিফ! মালদা কাণ্ডে ছিন্ন সূত্র যোগে তৎপর গোয়েন্দারা
কালিয়াচক পুলিশ জানিয়েছে, মাস দুয়েক আগে সাইবার জালিয়াতির জন্য আসিফকে থানায় আটক করা হয়। চলে জিজ্ঞাসাবাদও। তবে সেই বার উপযুক্ত প্রমাণ না পেয়ে আসিফকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মালদা: একের পর এক রহস্যের জাল উন্মোচিত হচ্ছে মালদা কাণ্ডে। কালিয়াচকে নিজের পরিবারের চার সদস্যকে খুন করে বাড়িতেই মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগে আসিফ মহম্মদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তার দাদা আরিফ মহম্মদ। প্রশ্ন উঠছে, মাত্র ১৮ বছরের ছেলে আসিফ কেন এই কঠোর নৃশংস পদক্ষেপ করল? কেনই বা দাদা আরিফ আগে এ বিষয়ে মুখ খোলেননি?কেন নিজের মা-বাবাকে খুন করার চারমাস পরে ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় গেলেন আরিফ?
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ক্লাস ইলেভেন পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর পড়া ছেড়ে দেয় আসিফ। তারপর থেকে নিজের ঘরেই সারাদিন থাকত সে। ঘর থেকে বিশেষ বেরত না। এমনকী, নিজের ঘরেও কাউকে ঢুকতে দিত না। আসিফের দাদা, আরিফ জানিয়েছেন, আসিফ সারাদিনই নিজের ঘরে নানা যন্ত্রপাতি নিয়ে থাকত। এমনকী, বিভিন্ন সময়ে বাবার থেকে টাকাও চাইত। হিসেবের বাইরেও বহুমূল্য ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ফোন আরও নানা যন্ত্র কিনেছিল আসিফ। বাড়ির চারদিকে বসিয়েছিল সিসিক্যামেরাও। এ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন করলে আসিফ বলত, সে কোনও অ্যাপ বানাচ্ছে। তবে কোন ধরনের অ্যাপ বা কী কাজ কিছুই জানায়নি। আরিফ আরও জানিয়েছেন, তাঁর ভাই মানসিক অবসাদে ভুগত বলেই মনে করতেন তিনি।
কালিয়াচক পুলিশ জানিয়েছে, মাস দুয়েক আগে সাইবার জালিয়াতির জন্য আসিফকে থানায় আটক করা হয়। চলে জিজ্ঞাসাবাদও। তবে সেই বার উপযুক্ত প্রমাণ না পেয়ে আসিফকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা বলছেন, দুই মাস আগে অর্থাৎ মে মাসে আসিফকে আটক করা হয়। ততদিনে, খুনের কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। কিন্তু, মে মাসেও পুলিশি জালে আসিফকে আটক করা হলেও মুখ খোলেননি আরিফ। শনিবার তদন্তে নেমে, আসিফের ল্যাপটপ, ফোন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পাশাপাশি, কোনও তথ্য় প্রমাণ যাতে লোপাট না হয় তার জন্য় বাড়ির চারদিকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আসিফের ল্যাপটপ ও ফোন ঘেঁটে জানা গিয়েছে সাইবার হ্যাকারদের সঙ্গে যুক্ত ছিল ধৃত যুবক। বিট কয়েন কেলেঙ্কারিতেও নাম রয়েছে আসিফের। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা তুলে নেওয়া, ফোন ট্যাপ করা থেকে শুরু করে ডার্ক ওয়েবের তথ্য় পাচার এমন নানা কাজেই সিদ্ধহস্ত ছিল আসিফ। নিজের কুকীর্তি যাতে ফাঁস না হয়, সেইদিকে বিশেষ নজর ছিল আসিফের। শুধু অর্থের জন্য খুন নাকি যন্ত্রের নেশায় অচিরেই নিজেকে এই কালোচক্রে জড়িয়ে নিয়েছিল আসিফ তা তদন্তসাপেক্ষ বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: Malda Murder:মালদায় একই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যার পেছনে যোগসাজশ দুই ভাইয়ের! নেপথ্যে কি সম্পত্তি?