Maldah Dilip Ghosh: ‘তৃণমূলই আসলে বিজেপির এজেন্ট’, বলছেন খোদ দিলীপ ঘোষ

Maldah Dilip Ghosh: মালদার রাজনৈতিক সমীকরণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, মালদার দুটি আসনের মধ্যে একটি পেয়েছিল কংগ্রেস, অন্যটি বিজেপি। মালদার উত্তর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন খগেন মুর্মু। দক্ষিণ মালদায় জিতেছিলেন কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরী।

Maldah Dilip Ghosh: 'তৃণমূলই আসলে বিজেপির এজেন্ট', বলছেন খোদ দিলীপ ঘোষ
মালদায় দিলীপ ঘোষ Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2023 | 11:56 AM

মালদা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর কয়েকটা দিন। এই আবহে তৃণমূল-বিজেপির সেটিং-তত্ত্ব খাঁড়া করলেন খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কংগ্রেস-বিজেপির হাত মেলানো প্রসঙ্গ উত্থাপন করে পাল্টা বিঁধেছেন দিলীপ। মালদার সাহাপুরে চায়ে পে চর্চার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দিলীপ বলেন, “টিএমসি বিজেপির এজেন্ট। যেখানে ধান্দা সেখানেই হাত মেলায়। মানুষ বুঝে গিয়েছে।” সম্প্রতি সুজাপুরে পঞ্চায়েতের প্রচারে এসেছিলেন অভিষেক। সেখানে বিরোধীদের বিঁধতে গিয়ে কংগ্রেস-বিজেপির সেটিং তত্ত্ব খাঁড়া করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কখনই বিজেপি কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে না। যেখানে তৃণমূল বাংলার মানুষের অধিকারের স্বার্থে লড়াই চালাচ্ছে, সেখানে কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তার বিরোধিতা করছে। কংগ্রেসকে বিজেপির এজেন্ট বলেন তিনি।

এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন করা হয় দিলীপ ঘোষকে। তিনি পাল্টা বলেন, তৃণমূলই আদতে বিজেপির এজেন্ট। তাঁর কথায়, “অধীর চৌধুরী আবার কবে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাল? তৃণমূলই বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায়। তৃণমূল বিজেপির এজেন্ট। দিল্লি গিয়ে হাত মেলায়।” তাঁর আরও খোঁচা, ” তৃণমূলই পাটনা গিয়ে লিট্টি খেয়ে আসে। নিজেদের ধান্দায় চলে। মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে তার জবাব দেওয়া শুরু হয়ে যাবে।”

প্রসঙ্গত, মালদার রাজনৈতিক সমীকরণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, মালদার দুটি আসনের মধ্যে একটি পেয়েছিল কংগ্রেস, অন্যটি বিজেপি। মালদার উত্তর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন খগেন মুর্মু। দক্ষিণ মালদায় জিতেছিলেন কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরী। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের আক্রোশের মুখে পড়ে বিজেপি-কংগ্রেস। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দিলীপ ঘোষের এহেন বক্তব্যের পিছনে বড় ব্যাখ্যা থাকতে পারে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদা বিজেপি- সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক অভিজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল সে অর্থে বিজেপির সংস্পর্শে ছিল। তাছাড়াও বাংলার বড় কোনও সিদ্ধান্তের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে চব্বিশের নির্বাচনের আগে অ-বিজেপি শক্তিগুলির সঙ্গে বৈঠককেও খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ। বিরোধী ঐক্যে শান দিতে বৈঠক হয়েছে মমতা-নীতিশ-তেজস্বীর। আর সেক্ষেত্রেই হয়তো উঠে এসেছে লিট্টি খাওয়া প্রসঙ্গ।