Maldah: মেঝেতে পড়ে অর্ধনগ্ন বধূর দেহ, আশপাশে রক্ত, শ্বশুরবাড়ির লোক পলাতক

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 27, 2025 | 5:08 PM

Maldah: তিন বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার টাল বাংরুয়া গ্রামের মনসুর আলির মেয়ে নূরজাহানের সঙ্গে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী সোনাকুল গ্রামের মাসুদ আলির।

Maldah:  মেঝেতে পড়ে অর্ধনগ্ন বধূর দেহ, আশপাশে রক্ত, শ্বশুরবাড়ির লোক পলাতক
মৃতের মা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মালদহ: শরীর জুড়ে নির্যাতনের চিহ্ন, আশেপাশে পড়ে রক্ত। প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার গৃহবধূর দেহ শ্বশুরবাড়ি থেকেই। দেহ ফেলে পলাতক শ্বশুরবাড়ির সব সদস্য। এলাকার বাসিন্দাদের সাহায্যে ঘর থেকে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সোনাকুল গ্রামে। মৃত গৃহবধূর নাম নূরজাহান খাতুন (২১)। এই ঘটনায় নূরজাহানের শ্বশুর বাড়ির স্বামী-সহ মোট আট জনের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পলাতক নূরজাহানের শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার টাল বাংরুয়া গ্রামের মনসুর আলির মেয়ে নূরজাহানের সঙ্গে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী সোনাকুল গ্রামের মাসুদ আলির। নূরজাহানের বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ বিয়ের ছ’মাস পর থেকে নূরজাহানকে বারবার বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হত। জানা গিয়েছে, বিয়ের সময় মাসুদকে ৮৫ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও বারবার বাপের বাড়ি থেকে দু লক্ষ টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হত।

অভিযোগ এই নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নুরজাহানের উপর শারীরিক মানসিক অত্যাচার চালাত। নুরজাহানের শ্বশুরবাড়ির পাড়া প্রতিবেশীদের মুখ থেকে তাঁর বাবা মেয়ের মৃত্য়ুর খবর পান। মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান একটি ঘরে মেয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গলায় দড়ির দাগ। আশেপাশে রক্ত পড়ে রয়েছে।

শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা সবাই পলাতক। এরপরে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ এ দিন মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। নুরজাহানের বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ চরম নির্যাতনের পরে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।