Maldah TMC Corruption: ১০০ দিনের কাজে ৫০ লক্ষ টাকা পকেটে! কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত প্রধান

Maldah TMC Corruption: ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা মালদার কালিয়াচকে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে গ্রামের একমাত্র স্মশানের জন্যে আসা সব টাকাই তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

Maldah TMC Corruption: ১০০ দিনের কাজে ৫০ লক্ষ টাকা পকেটে! কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত প্রধান
মালদায় ১০০ দিনের কাজের টাকা দুর্নীতির অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2021 | 11:55 AM

মালদা: শ্মশান ও রাস্তা সংস্কারের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ। ৫০ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে দুষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামী। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা মালদার কালিয়াচকে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে গ্রামের একমাত্র স্মশানের জন্যে আসা সব টাকাই তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। অভিযোগ প্রধান, প্রধানের স্বামী-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানিয়েছেন বিডিও ও মহকুমা শাসকের কাছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। কালিয়াচক ৩নং ব্লকের সাহাবাজপুরের ঘটনা।

সাহাবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর স্বামী সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল,  অভিযুক্তদের মধ্যে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বিজেপি-তিন দলেরই সদস্য রয়েছেন। এই তিন দলের মিলিত সমর্থনেই গ্রামের প্রধান নির্বাচিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই এমন কাণ্ড বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই শ্মশানের রাস্তা বেহাল, কার্যত নেই বললেই চলে! পাশাপাশি একমাত্র এই শ্মশানের সংস্কারও হয়নি কোনও দিন। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল শ্মশানের মন্দির-সহ অন্যান্য কিছু সংস্কার করা হোক। পাশাপাশি গ্রামের ওই রাস্তা সংস্কারেরও দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা।

আসলে ওই রাস্তা তৈরি না হলে সত্কার্যে আসা গ্রামবাসীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বর্ষাকাল হলে তো আর কথাই নেই। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে শ্মশান ও রাস্তা সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছিল।  ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। যার মধ্যে ২৭ লক্ষ টাকা শ্মশান সংস্কারের জন্যে বাকি টাকা রাস্তা নির্মানের জন্য বরাদ্দ হয়। কিন্তু কিছু কাজ না করেই ভুয়ো বিল দেখিয়ে সব টাকাই লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। আর অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান, তাঁর স্বামী ও আরও কয়েকজন।

শ্মশানের সেক্রেটারি রমেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “আমরা জানি শ্মশানের সংস্কারের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। প্রধানরাই টাকা আত্নসাত্ করেছেন। আমরা প্রধানের শাস্তি চাই। শ্মশানের উন্নতি হওয়া প্রয়োজন। সেই টাকা এসেও কাজ হল না কিছুই।”

এক গ্রামবাসী বলেন, “শ্মশানের রাস্তাটার অবস্থা খুবই খারাপ। শ্মশানেরও তো সংস্কার হয়নি। সরকার তো টাকা দিয়েছিল। প্রধান পুরো টাকাটাই আত্নসাত্ করে নেন। প্রধানকে আমরা জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনও কর্ণপাত করেননি। পরে আমরা বিডিওকে জানিয়েছি।”

অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী বলেন, “অভিযোগ মিথ্যা। ভিত্তিহীন অভিযোগ। প্রধান কোনও টাকা আত্নসাত্ করেনি। ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই।”

আরও পড়ুন: Cyclone Jawed Update: আরও শক্তি বাড়াল নিম্নচাপ! ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, আগামী ১২ ঘণ্টায় কী পরিস্থিতি তৈরি হবে বাংলায়?

আরও পড়ুন: Farm Advisory: নিম্নচাপের জেরে চিন্তায় কৃষি দফতর, প্রভাবিত হতে পারে এমন জেলাগুলিকে সতর্কতা