Maldah: মালদহে নারী নির্যাতন, সরেজমিনে তদন্তে এবার রাজ্যে তদন্তে জাতীয় মহিলা কমিশন
Maldah: বন্দে ভারতে মালদহ ষ্টেশনে নেমে এখন মালসা সার্কিট হাউজ়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে মানিকচকের মথুরাপুরে রওনা দিয়েছেন। দুই মহিলার সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। তাঁদের বয়ান সংগ্রহ করা হবে।
মালদহ: উত্তর পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট একটি রাজ্য মণিপুর এখন গোটা দেশের রাজনীতির কেন্দ্রে। বাংলার শাসকদল মণিপুরকে ইস্যু করছে জাতীয় স্তরে। আর বিরোধী দল বিজেপি মালদহের নারী নির্যাতনের বিষয়টি ইস্যু করে সোচ্চার হচ্ছে। নারী নির্যাতনের ইস্যুতে সোমবার বিধানসভাও তপ্ত হয়েছে। এবার মালদহে নির্যাতিতা দুই মহিলার ঘটনার তদন্তে জাতীয় মহিলা কমিশন। এসপি ও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। বন্দে ভারতে মালদহ ষ্টেশনে নেমে এখন মালসা সার্কিট হাউজ়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে মানিকচকের মথুরাপুরে রওনা দিয়েছেন। দুই মহিলার সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। তাঁদের বয়ান সংগ্রহ করা হবে। কথা বলবেন পুলিশ সুপার, থানার আইসি-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গেও।
মালদহের পাকুয়াহাটের নারী নির্যাতনের ৯ দিন পর চার পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ় করে জেলা পুলিশ। আইসি জয়দীপ চক্রবর্তী, নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মৃণাল সরকার, পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস ও এএসআই সঞ্জয় সরকারকে ক্লোজ করা হয়।
ঘটনাটি গত ১৮ জুলাইয়ের। পাকুয়াহাটের হাট চলাকালীনই দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয়। নিগ্রহের পর তাঁদেরকে টানতে টানতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নির্যাতিতাদেরই গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁদের জামিন দেওয়া হয়। মণিপুর ইস্যুতে যখন তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা দেশ, তখন বিষয়টিতে সক্রিয় হন খোদ বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মণিপুরে প্রতিনিধি দল পাঠান। তারপরই এই মারধরের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। বিষয়টিকে নিয়ে সুর চড়াতে থাকে বিজেপি। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার সঙ্গে জুড়ে যায় বাংলার নারী নির্যাতনের বিষয়টিও। এই দুটোকে হাতিয়ার করে শাসকদলের বিরুদ্ধে অস্ত্র শানাতে থাকে মুখ্য বিরোধী শিবির। আপাতত এই নারী নির্যাতনের ইস্যুর আঁচ গিয়ে পড়েছে বিধানসভাতেও।