Sukanta Majumdar: মোথাবাড়িতে সুকান্তকে বাধা! ‘রাজীব কুমার আর মমতা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না’, ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার সুকান্তর
Sukanta Majumdar: তবে পুলিশ যে ব্যারিকেড করেছে মোথাবাড়িতে তা ভাঙা কোনও ব্যাপারই নয়, এদিন সে কথাও বারবার বললেন সুকান্ত। কিন্তু এখন ‘ওয়ার্ম আপ’ চলছে। ক্ষুব্ধ কর্মীদের শান্ত করতে ওই ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়েই ধৈর্য ধরার কথাই শোনা গেল তাঁর মুখে।

মোথাবাড়ি: “বাধা পেলে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করব। হিন্দু সমাজের লোকজন সবাই তৃণমূলের পুলিশের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।” তপ্ত মাথাবাড়িতে যাওয়ার আগে এভাবেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে ১৪৪ ধারা থাকার পরেও কীভাবে তৃণমূলের লোকজন, বিধায়ক ওই এলাকায় দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। চাপানউতোরের মধ্য়েই সুকান্ত ঢোকার চেষ্টা করলেই মোথাবাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার আগে তাঁকে আটকে দিল পুলিশ। করা হয় বাঁশের ব্য়ারিকেড। পুলিশের বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন সুকান্তরা।
রাস্তা থেকেই থেকেই মাইক হাতে তৃণমূল-পুলিশ প্রশাসনের তুলোধনা করেন সুকান্ত। হুঙ্কারের সুরে বলেন, “জেলে যেতে হলে জেলে যাবেন। আমার যুব মোর্চার ভাইদের কাছে অনুরোধ করে যাচ্ছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলে তাঁকে জয় শ্রী রাম স্লোগান স্বাগত জানাবেন। উনি পশ্চিমবঙ্গের যেখানে যাবেন সেখানে আমরা জয় শ্রীরাম বলব।” সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “পুলিশকে বলছি আপনারা হিন্দুদের সুরক্ষিত করুন।” ছেড়ে কথা বললেন না রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকেও। তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বললেন, “রাজীব কুমার আমার ভাষণ টিভিতে দেখছে। ওনাকে বলে দিতে চাই বেশিদিন মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। আপনাকেও জেলে যেতে হবে আপনার সময় এসে গিয়েছে।”
তবে পুলিশ যে ব্যারিকেড করেছে মোথাবাড়িতে তা ভাঙা কোনও ব্যাপারই নয়, এদিন সে কথাও বারবার বললেন সুকান্ত। কিন্তু এখন ‘ওয়ার্ম আপ’ চলছে। ক্ষুব্ধ কর্মীদের শান্ত করতে ওই ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়েই ধৈর্য ধরার কথা বলতে গিয়েও সুকান্ত বললেন, “আজ আমাদের আটকে দিয়েছে। কিন্তু, তাতে হয়তো আজ সাময়িকভাবে আমাদের লড়াই শেষ হচ্ছে। আমরা ২ মিনিট পেলে এই ব্যারিকেড ভাঙতে পারতাম। কিন্তু এখন ম্য়াচের আগে প্রাকটিস ম্যাচ হচ্ছে। যদি ভাঙতে হয়, তাহলে নবান্নের সামনের ব্যারিকেড ভাঙব। ওতে মজা আলাদা।”
এদিন মোথাবাড়িতে গিয়েও টানেন রাম নবমীর প্রসঙ্গও। টানেন যোগীর প্রসঙ্গও। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কীভাবে রাম নবমী হয় তা মনে করিয়ে কর্মীদের ‘আর একটু অপেক্ষা’ করার কথা বললেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বলেন, “উত্তর প্রদেশে যোগী বাবার সরকার আছে। যখন ওখানে রাম নবমীর মিছিল হয় তখন মুসলিমরা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফুল ছেটায়, সরবত খাওয়ায়। অপেক্ষা করুন ছাব্বিশ অবধি। সেই রাম দৃশ্য আপনারাও দেখতে পাবেন। আপনারা রাম নবমীর মিছিল করবেন, আর মুসলিম ভাইয়েরা পাশে দাঁড়িয়ে সরবত খাওয়াবেন।”





