একই গাছ থেকে উদ্ধার উচ্চ মাধ্যমিক টপার ও বন্ধুর ঝুলন্ত দেহ! তীব্র উত্তেজনা
পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার থেকে উঠে আসা মনোজ মণ্ডল এলাকায় মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৯১ নম্বর পেয়ে কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লক এলাকার মধ্যে প্রথম হন তিনি।
মালদহ: পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের মেধাবী ছাত্র তিনি। উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯১ নম্বর পেয়ে তাক লাগান তিনি। সেই উচ্চ মাধ্যমিকে ব্লক টপার তরুণ ও তাঁর বন্ধুর একই গাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল মালদহ জেলার মোথাবাড়ি থানা এলাকায়। মৃত্যুর কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
শুক্রবার মোথাবাড়ি থানার অন্তর্গত উত্তর লক্ষীপুরের অঞ্চলের কালাচাঁদ টোলা গ্রামে দুই তরুণকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। মনোজ মণ্ডল (১৮) ও চৈতন্য মণ্ডল (১৭) নামে দুই পড়ুয়ার বাড়ি থেকে তিন-চারশো মিটার দূরে আমবাগানের একটি গাছে তাদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কেউ খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে তাদের। কিন্তু এই খুনের পিছনে কারণ কী? মেধাবী পড়ুয়া ও আর এক যুবকের সঙ্গে কোনও শত্রুতার কথা এখনও জানা যায়নি।
পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার থেকে উঠে আসা মনোজ মণ্ডল এলাকায় মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৯১ নম্বর পেয়ে কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লক এলাকার মধ্যে প্রথম হন তিনি। গোটা মোথাবাড়ি এলাকায় প্রথম হয়েও সত্ত্বেও তার উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের বাধা হয়ে ওঠে পরিবারের দারিদ্র্য। অন্যদিকে চৈতন্যও বেশ ভালো ছাত্র। দু’জনেই খুব ভালো বন্ধু বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এদিন সকালে সানাউল হক নামে এক ব্যক্তি জমিতে ভুট্টা সংগ্রহ করতে যাওয়ার সময় বাগানে এই দুই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দিতে তিনি ছুটে যান গ্রামে। এরপর দুই পড়ুয়ার পরিবারের লোক এবং গ্রামবাসী ছুটে আসে। পরিবারের লোকজন মোথাবাড়ি থানায় খবর দেয় এবং মোথাবাড়ি থানার ওসি মৃণাল চ্যাটার্জি-সহ পুলিশ বাহিনী এসে দেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়া কোভিড হাসপাতালে এ কার দেহ! পরিচয় জানতে নাজেহাল কর্তৃপক্ষ
এখন কে বা কারা এই দুই তরুণকে খুন করল অথবা তাঁদের মৃত্যুর ঘটনায় কারা জড়িত তা নিয়ে রহস্যের জট কাটেনি। জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে দুই তরুণের অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া পুরো এলাকায়।