AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC: ‘ওদের কাছে কেন যাব?’, ফিরহাদের সভায় যাওয়ার কথা বলতেই তৃণমূল নেতাদের ‘ঘাড়ধাক্কা’ দিলেন গ্রামবাসী!

Malda: গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শনিবার সকালে, স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এসে তাঁদের জানান, রবিবার ফিরহাদ হাকিমের সভায় যেতে হবে। সেখানে গেলেই তাঁদের যাবতীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে।

TMC: 'ওদের কাছে কেন যাব?', ফিরহাদের সভায় যাওয়ার কথা বলতেই তৃণমূল নেতাদের 'ঘাড়ধাক্কা' দিলেন গ্রামবাসী!
বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2021 | 2:47 PM
Share

 মালদা: উপনির্বাচনের (WB By-Poll 2021) আগে রবিবারই মালদায় সভা করতে চলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। সেই সভায় উপস্থিত থাকার জন্য গ্রামবাসীদের আবেদন করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। আর তাতেই বিপত্তি!  প্রায় ‘ঘাড়ধাক্কা’ দিয়ে গ্রাম থেকে তৃণমূল নেতাদের বের করে দিলেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, নেতারা কেবল ভোট  নিতে, সভা করতেই আসেন। কাজের সময় তাঁদের আর পাওয়া যায় না। ঘটনাটি হরিশচন্দ্রপুরের গোলামোড় নবগ্রামের ঘটনা।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শনিবার সকালে, স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এসে তাঁদের জানান, রবিবার ফিরহাদ হাকিমের সভায় যেতে হবে। সেখানে গেলেই তাঁদের যাবতীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। এরপরেই ক্ষেপে ওঠেন এলাকাবাসী। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, কোনওভাবেই ফিরহাদের সভায় যাবেন না তাঁরা। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, ২০ বছর ধরে তাঁদের অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। থাকার জন্য় ঘরটাও জোটেনি। প্রতিবারই ভোট আসে আর প্রতিবার নেতারা এসে নানা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। তাই এ বার থেকে তাঁরা আর কোনও নেতার সভায় যাবেন না। এদিন তৃণমূল নেতারা এলে কার্যত তাঁদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন সকলে। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচেন তাঁরা।

এক গ্রামবাসীর কথায়, “কোনওরকমে পলিথিন খাটিয়ে রয়েছি। মাথার উপর ছাদটাও নেই। প্রতিবার ভোট হয়। নেতারা আসে আর যায়। কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ হয় না। আজ ১০ বছরের বেশি হয়ে গেল একটা ঘর নেই। আবাস যোজনায় নাকি খালি আমাদের নাম বাদ যায়।  কেন আমরা ঘর পাব না? ভোট নেওয়ার সময় সবাই আসবে, আর ভোট মিটলেই দেখা যাবে না! তাই আজ তৃণমূলের নেতারা এলে আমরা গ্রাম থেকে বের করে দিয়েছি। আগে আমাদের ঘর হবে। তারপর আমরা সভায় যাব।”

আগামিকালই সভা করতে আসছেন ফিরহাদ। তার আগেই এভাবে তৃণমূল নেতাদের গ্রাম থেকে বিতাড়িত করার ঘটনায় কার্যত বেশ অস্বস্তিতে শাসক শিবির। তৃণমূল নেতা আফসার আলি জানিয়েছেন, এই ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার। গ্রামে অনেকেই সকবরকম সুবিধা পেয়ে থাকেন। অনেকেই কিছুই পান না। এই পরিস্থিতিতে, অনেক গ্রামবাসীই অভিযোগ করেছেন তাঁরা সরকারি আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু, যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে তাঁদের যাতে দ্রুত ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায় তার জন্য যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় কাজ চলছে। প্রতিবারই গ্রামবাসীদের সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়। এ বারেও নিয়ম মেনেই বলা হয়েছিল। কিন্তু, গ্রামবাসীরা এমন বিক্ষোভ দেখাবেন তা বোঝা যায়নি।

তৃণমূল নেতাদের বিতাড়িত হওয়ার ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় পদ্মনেতার দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োজিত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা প্রাপ্তি হওয়ার কথা সকলের। সেখানে তৃণমূলের নেতারা কাটমানি খাওয়ায় সাধারণ মানুষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। গ্রাম থেকে বের করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: Post Poll Violence: মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমডাঙায় ‘স্পট ভিজিট’-এ সিবিআই