
মুর্শিদাবাদ: মল্লিকার্জুন খাড়গের মন্তব্যের পর সকলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন অধীরের (Adhir Ranjan Chowdhury) মন্তব্যের জন্য। অবশেষে তা এল। খাড়গে বলছেন, অধীর চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নয়। যা বলব, সেটাই মানতে হবে। না মানলে বেরিয়ে যেতে পারে। পাল্টা অধীর বললেন, এই লড়াই আমি কোনওভাবে থামাতে পারি না। পঞ্চম দফার ভোটের আগে শনিবারের বারবেলায় হাত শিবিরের নেতাদের একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ পাল্টা তোপেই যেন নতুন করে পারদ চড়ল বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপট একরকম হলেও বাংলা কিন্তু চলছে উল্টো স্রোতেই। বাংলায় ভোট প্রচারে মমতা বারবার বলছেন, এখানে তাঁদের লড়াইটা একার। কংগ্রেস-সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে আদপে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। অন্যদিকে পাল্টা মমতার বিরুদ্ধে লাগাতার বিষোদগার করে চলেছেন অধীর-সেলিমরা।
এদিকে মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো হাত শক্ত জেলাগুলিতে ভোট হয়ে গেলেও প্রচারে দেখা যায়নি রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীদের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের মতেই নেপথ্যে কাজ করছে অধীররে মমতা বিরোধিতা। অধীরের খুল্লামখুল্লা তৃণমূল বিরোধিতা আপাতত ভালভাবে দেখছে না হাইকমান্ড। এই প্রেক্ষাপটে এদিন আচমকা মল্লিকার্জুন খাড়গে অধীর বার্তা আসতেই তা নিয়ে জোর শোরগোল শুরু হয়ে যায় বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুনের সাফ কথা, “অধীর চৌধুরী কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নয়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কংগ্রেস দল আছে, হাইকমান্ড আছে। আমরা যা সিদ্ধান্ত নেব, সেটাই হবে।”
পাল্টা অধীর বললেন লড়াই তিনি চালিয়ে যাবেন। কংগ্রেসকে খতম করতে এলে ছেড়ে কথা তিনি বলছেন। খানিক হুঁশিয়ারির সুরেই এদিন অধীর বলেন, “আমার বিরোধিতা কোনও ব্যক্তিগত বিরোধিতা নয়। এটা নৈতিক বিরোধিতা। কংগ্রেসকে কেউ খতম করবে আমি তাঁকে খাতির করব তা তো হতে পারে না। আমার বিরোধী পশ্চিমবঙ্গে আমার পার্টিকে রক্ষা করার জন্য লড়াই। এই লড়াই আমি কোনওভাবে থামাতে পারি না। কারণ আমি পার্টির একজন সৈনিক।”