Anganwadi Workers: ডিম নিয়ে ডামাডোলে খেতে হল কামড়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হইচই
Murshidabad: গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মিড ডে মিলের খাবার নিয়মিত দেওয়া হয় না। কেন তা প্রসূতি, বাচ্চারা নিয়মিত পান না তা নিয়েই প্রশ্ন করা হলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী জিন্নাতুন নিশা গায়ে হাত তোলেন। এমনকী এক অভিভাবককে কামড়ে দেন বলেও অভিযোগ।
মুর্শিদাবাদ: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দেওয়া হয় না ডিম। কখনও আবার চারটে ডিমকে আট টুকরো করে দেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের সুতির ডিহিগ্রাম মধ্যপাড়া এলাকা। এমনও অভিযোগ, সোমবার প্রতিবাদ জানালে গ্রামবাসীর সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। এক শিশুর মাকে কামড়ে দেন বলেও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এরপরই স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মিড ডে মিলের খাবার নিয়মিত দেওয়া হয় না। কেন তা প্রসূতি, বাচ্চারা নিয়মিত পান না তা নিয়েই প্রশ্ন করা হলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী জিন্নাতুন নিশা গায়ে হাত তোলেন। চড় মারেন এক মহিলাকে। এমনকী এক অভিভাবককে কামড়ে দেন বলেও অভিযোগ।
এক অভিভাবক নাসিমার কথায়, “ডিম একদিন দেয়। ৪টে ডিমকে ৮ ভাগ করে দিচ্ছে। অথচ সকলের একটা করে ডিম পাওয়ার কথা। তাও দেয় ২ দিন। আবার পচা ডিমও দিয়ে দেয় কখনও কখনও। এগুলো কেন আমরা মানব? তিন বছরের বাচ্চা হলে বলছে রোজ ডিম খেলে পেটের সমস্যা হবে। ওদিকে পাঁচ বছরের বাচ্চা হলে বলছে বয়স পেরিয়ে গিয়েছে।” এ নিয়েই এদিন অশান্তি চরমে ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় সুতি থানা পুলিশ। যদিও মায়েদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী জিন্নাতুন নিশা।