Murshidabad: জল থেকে উঠে রক্ষা করেছিলেন গোটা গ্রাম, শতাব্দী প্রাচীন রাজরাজেশ্বরীর পুজো শুরু বংশবাটিতে

Murshidabad: মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলার পাশাপাশি বাইরের রাজ্যে ঝাড়খন্ড,বিহার থেকে মানুষ ভিড় জমান এই পুজোয়। একদিকে যেমন মেলা বসে। তেমনই যাত্রা, বাউল, নাটক ও কবিগানের আসর বসে। রাজ রাজেশ্বরী দুর্গোৎসব সম্প্রীতির উৎসব। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসবে সামিল হন।

Murshidabad: জল থেকে উঠে রক্ষা করেছিলেন গোটা গ্রাম, শতাব্দী প্রাচীন রাজরাজেশ্বরীর পুজো শুরু বংশবাটিতে
রাজরাজেশ্বরী পুজোImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2024 | 6:07 AM

মুর্শিদাবাদ: শরতে শারদীয়া। বসন্তে বাসন্তী। সারা বছরই পূজিতা হন দেবী দুর্গা। তেমনই মাঘ মাসে শীতের বিদায় বেলায় পুজো পান রাজরাজেশ্বরী। মুর্শিদাবাদ জেলার সুতির বংশবাটি গ্রামের অন্যতম সেরা উৎসব হল রাজ রাজেশ্বরী দুর্গোৎসব। এই পুজো উপলক্ষ্যে মেতে ওঠে সাধারণ মানুষ।

মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলার পাশাপাশি বাইরের রাজ্যে ঝাড়খন্ড,বিহার থেকে মানুষ ভিড় জমান এই পুজোয়। একদিকে যেমন মেলা বসে। তেমনই যাত্রা, বাউল, নাটক ও কবিগানের আসর বসে। রাজ রাজেশ্বরী দুর্গোৎসব সম্প্রীতির উৎসব। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসবে সামিল হন।

সুতির বংশবাটি গ্রামে আজ এই পুজোর মহাসপ্তমী। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে পুজো। চলবে মাঘী পূর্ণিমা অবধি। মূলত,পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজো চলে। নবমী তিথিতে সর্বাধিক সমাগম হয়। আদপে রাজ রাজেশ্বরী হলেন দেবী দুর্গার ষোড়শী রূপ। এখানে দেবী শবাসনে বিরাজমান। মাঘের শেষে মুর্শিদাবাদ মেতে ওঠে রাজরাজেশ্বরীর আরাধনায়। প্রায় তিন শতাব্দী জুড়ে মাঘ মাসে মুর্শিদাবাদের সুতি বংশবাটি এলাকায় পূজিত হন রাজরাজেশ্বরী।

কথিত আছে, বহুকাল আগে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল বংশবাটি। তখন একটি জলাশয় থেকে দেবী রাজরাজেশ্বরী উঠে এসে গোটা গ্রামকে রক্ষা করেন। তারপর থেকেই দেবী রাজরাজেশ্বরী, ওই গ্রামে দুর্গা হিসেবেই পূজিতা হয়ে আসছেন।

দেবী প্রতিমা কাঠামোতে শবরূপী শিব শায়িত থাকেন। শিবের নাভি থেকে প্রস্ফুটিত হয় দু’টি পদ্ম। দেবী রাজরাজেশ্বরী শবাসনে বিরাজ করেন। আর ধরিত্রীকে ধারণ করে থাকেন। চতুর্মুখী ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর এবং ধর্মরাজ। রাজরাজেশ্বরী চতুর্ভূজা,তাঁর দু-পাশে থাকেন দুই সখী জয়া এবং বিজয়া। দেবীর বাহন সিংহ। তিনিই আবার দশ মহাবিদ্যার তৃতীয় রূপ।

লোকমুখে শোনা যায়, জনৈক ভবানন্দ ভট্টাচার্য নামে এক নিঃসন্তান দম্পতি রাজুয়া দীঘির পাড়ে দেবী রাজরাজেশ্বরীর দেখা পেয়েছিলেন। তাঁদের পরিবারেই শুরু হয় এই পুজো। সেই পুজোই এখন বারোয়ারি পুজোর আকার ধারণ করেছে। তৈরি হয়েছে মাতৃ মন্দির। মন্দিরের হাতে থাকা জমিতে উৎপন্ন ধান,পুকুরের মাছ বিক্রি করে এবং আমজনতার চাঁদায় মন্দিরের পুজো হয়। এখানে দশমীর দিন দেবী রাজরাজেশ্বরীর বিসর্জন হয় না। দশমী শেষে পূর্ণিমা পার করে কোনও এক শুভদিনে দেবীর বিসর্জন হয়। ভক্তদের কাঁধে চেপে দেবীকে নিরঞ্জনের জন্য রাজুয়া দীঘিতে নিয়ে যাওয়া হয়।