Congress: সত্যি হল অধীরের আশঙ্কা! ‘হাত’ ছাড়লেন মইনুল
Murshidabad: আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জঙ্গিপুরে তৃণমূলের জনসভাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল যোগ দিতে চলেছেন মইনুল বলেই খবর সূত্রের।
মুর্শিদাবাদ: অবশেষে ‘হাত’ ছাড়তে চলেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক (Congress Ex MLA) মইনুল হক। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর জঙ্গিপুরে তৃণমূলের জনসভাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল যোগ দিতে চলেছেন মইনুল বলেই খবর সূত্রের। মঙ্গলবার, জাতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) কাছে চিঠি লিখে দলত্যাগের কথা ঘোষণা করেন ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক।
চিঠিতে মইনুল জানিয়েছেন, তিনি জাতীয় কংগ্রেসের তরফে সম্পাদকের পদ ছাড়ছেন। পাশাপাশি, দলের সদস্যপদও ত্যাগ করছেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের তরফে তাঁকে যে পদ ও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেজন্য দলের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন মইনুল। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচবার ফরাক্কা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন মইনুল। ২০২১ সালে তৃতীয় স্থান পান।
ফরাক্কার বিধায়ক পদের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড এবং জম্মু-কাশ্মীরের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও সামলেছেন। গত ২১ জুলাই মইনুল সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন বলে জানিয়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি দলে থেকে যান। সব ঠিক থাকলে তিনি ২৩ তারিখ জঙ্গিপুরের অভিষেকের হাত ধরে ঘাসফুলে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম লেখাবেন মইনুল। তাঁর সঙ্গে জেলা কংগ্রেসের আরও বেশ কয়েকজন কর্মী বলেই জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার রাতে জঙ্গিপুরের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী জাকির হোসেনের বাড়িতে একটি বৈঠকে যোগ দেন মইনুল। দীর্ঘক্ষণ সেই বৈঠকের পরেই নিজের ঘনিষ্ঠমহলে দলত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আগেই আশঙ্কা করেছিলেন যে দল ছাড়তে পারেন মইনুল। অধীরের নিজ গড়ে কংগ্রেসের এভাবে ভাঙন প্রসঙ্গে খোদ অধীর বলেন, “তৃণমূলকে দেখলে পুরনো কংগ্রেস বলে মনে হয়। যাঁরা দল ছেড়ে অন্য দলে যাবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ প্রকাশ করে লাভ নেই।” তৃণমূল নেতা তাপস রায় জানিয়েছেন, কোনও যোগ্য ব্যক্তি তৃণমূলে আসতে চাইলে তাঁকে স্বাগত। তবে, দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে একটি আসনও পায়নি কংগ্রেস। জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে নির্বাচন ৩০ সেপ্টেম্বর। তার আগে মইনুলের মতো দক্ষ সংগঠকের এভাবে দলত্যাগ যে কংগ্রেস শিবিরেকে বড় ধাক্কা দেবে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সমশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী জৈদুর রহমান জানিয়েছিলেন তিনি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। পরে তিনি তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানালেও নির্বাচনে যে লড়তে চলেছেন তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Surjya Kanta Mishra: ‘কে অজন্তা, কীসের শোকজ়?’ অনিল-কন্যাকে চিনতেই পারলেন না সূর্যকান্ত!
আরও পড়ুন: Dev: ‘বাবুলদা আজ আমাদের দলে, কাল…’, বলেই থামলেন তারকা-সাংসদ!