Humayun Kabir: ‘আমাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হোক, তারপর…’, ফের মুখ খুললেন হুমায়ুন
Humayun Kabir: মাস কয়েক আগে নতুন দল গঠন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ুন কবির। মূলত জেলা নেতৃত্বের বিরোধিতা করেই নতুন দল গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হুমায়ুন। তাঁর বক্তব্য ছিল, মুর্শিদাবাদ জেলার নেতৃত্ব খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও মানছে না।

মুর্শিদাবাদ: ‘আমাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হোক। আমি বেরিয়ে যেতে চাইছি। তারপর আমি বোঝাবো এই জেলার রাজনীতি কাকে বলে।’ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বললেন তৃণমল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দল ছাড়ার কথা আগেও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। আর এবার কার্যত হুঁশিয়ারির সুর। মুর্শিদাবাদ জেলায় যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক পদে আছে, তারা আগে কোথায় ছিল, কীভাবে পদে এসেছে, সেই সব উল্লেখ করে তাদের ছবি দেওয়ালে টাঙানো হবে বলে দাবি করেছেন হুমায়ুন। জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার থেকে শাখা সংগঠনের সভাপতিদের নাম ধরে ধরে এদিন আক্রমণ করেন ভরতপুরের বিধায়ক।
এদিন হুমায়ুন কবির বলেন, “পুলিশের জুলুমের জন্য বালির গাড়িতে বেশি টাকা খরচ করে সাধারণ মানুষকে কিনতে হয়। পুলিশ তোলাবাজি-জুলুমবাজি করে। পুলিশের কর্মীরা তাদের ক্যান্টিনে জিনিসপত্র কিনে বাইরে বিক্রি করে, কিন্তু আর্মি ক্যান্টিনে এইরকম কাজ হয় না।” বিধায়কের দাবি, ২০২৩ সাল থেকে তাঁর বিধানসভা এলাকার দুই ব্লক সভাপতিকে সরানোর জন্য চিঠি এসেছে, কিন্তু এখনও তারা সরেনি। এখনও তার কোনও কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ।
ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের আরও অভিযোগ, ভরতপুরের উন্নয়নে এক টাকাও খরচ করেনি তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান।
মাস কয়েক আগে নতুন দল গঠন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ুন কবির। মূলত জেলা নেতৃত্বের বিরোধিতা করেই নতুন দল গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হুমায়ুন। তাঁর বক্তব্য ছিল, মুর্শিদাবাদ জেলার নেতৃত্ব খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও মানছে না। ৫০-৫২টা আসন নিয়ে দল গঠন করার কথাও বলেছিলেন।
পরে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে যান হুমায়ুন। তাঁর স ঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ হয়। প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষেই স্পষ্ট হয়ে যায়, দলেই থাকছেন হুমায়ুন। বৈঠক শেষে হাসিমুখে বেরিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেছিলেন,”বৃক্ষ তোমার নাম কী ফলে পরিচয়!”।
