Kartik Maharaj: ভোটের ঠিক আগেই ফের ব্রিগেডে গীতাপাঠ, ‘রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই’, বলছেন কার্তিক মহারাজ
Kartik Maharaj: ইতিমধ্য়েই বাংলায় বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। কিন্তু, ঠিক তার আগেই এই আয়োজন ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। যদিও কার্তিক মহারাজ বলছেন এই কর্মসূচির সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই।

বেলডাঙা: আগের বছর হয়েছিল ২৪ ডিসেম্বর, এবার হবে ৭ ডিসেম্বর। আগেরবার নামে ছিল লক্ষ কণ্ঠ, এবার এক্কেবারে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন হচ্ছে ব্রিগেডে। আয়োজন করছে সনাতন সংস্কৃতি মঞ্চ সহ আরও একাধিক সহযোগী সংগঠন। সদ্য পদ্ম পুরস্কার আনতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজ। সেখানেই একাধিক ধর্মগুরুদের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। চলে আলাপ-আলোচনা। তারপরই ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের বড় ঘোষণা।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্য়েই বাংলায় বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। কিন্তু, ঠিক তার আগেই এই আয়োজন ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। যদিও কার্তিক মহারাজ বলছেন এই কর্মসূচির সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই। তিনি আরও জানাচ্ছেন ওই অনুষ্ঠানে আসছেন বাগেশ্বর ধামের ধীরেন্দ্রনাথ শাস্ত্রী, সাধ্বী ঋতম্বরার মতো ধর্মগুরুরা।
কার্তিক মহারাজ বলছেন, “এখন গ্রামে গ্রামে, জেলায় জেলায় গীতা পাঠ হচ্ছে। যার ফলে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তনও হচ্ছে। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।” এরপরেই তাঁর সংযোজন, “রাজনীতির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। গীতা এমন এক ধর্মগ্রন্থ যা হাজার হাজার বছর ধরে মানবজাতির কল্যাণে নিয়োজিত। বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও গীতা পড়েন। পৃথিবীর সমস্ত ভাষায় গীতা অনুবাদ হয়েছে। এখন সনাতন হিন্দু ধর্মের কথা বললেই বিজেপির কথা বলা হলে তো হাস্যকর ব্যাপার।”
