Murshidabad: এটা নাকি শিল্পতালুক! দিন, মাস, বছর যায়, রেজিনগরের ১৮৭ একর জুড়ে গজায় বুনো গাছ
Murshidabad: ১২ নম্বরের জাতীয় সড়কের পাশে রেজিনগর রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এই জমি অধিগ্রহণ করা হয় সেই সময়। তারপর ক্ষমতায় আসে তৃণমূল।

রেজিনগর: ঘটা করে আরও একটা শিল্প সম্মেলনের আয়োজন হল বাংলায়। বেশ কয়েকটি ‘মউ’ স্বাক্ষর, কয়েকটি শিল্পের ঘোষণাও উঠে এল শিরোনামে। কিন্তু রেজিনগরের মানুষ এখনও সেই ‘পরিযায়ী’। কাজের জন্য আজও অন্যান্য রাজ্যই ভরসা তাদের কাছে! ‘শিল্পতালুক’ তৈরি হলে বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থেকেই রোজগার করতে পারবেন, এমনটাই আশা ছিল তাঁদের। কিন্তু এক দশক কেটে যাওয়ার পর সেই শিল্পতালুকের দিকে তাকালে তৈরি হয় শুধুই হতাশা।
যত দূর দৃষ্টি যায়, দেখা যায় শুধুই বুনো গাছ। রেজিনগর শিল্পতালুক লেখা হোর্ডিংটাই ভরসা। আসলে জঙ্গলে ভরেছে পুরো এলাকা। মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের শিল্প তালুকে দেখা নেই কোনও শিল্পের।
বাম জমানার শেষের দিকে ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে রাখা হয়েছিল। শিল্প তালুকের জন্য ১৮৭ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। ১২ নম্বরের জাতীয় সড়কের পাশে রেজিনগর রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এই জমি অধিগ্রহণ করা হয় সেই সময়।
তারপর ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। শিল্পের জন্য বছরের পর বছর ‘বিজনেস সামিট’ হয়। মেলে গাল ভরা প্রতিশ্রুতি। কিন্তু শিল্প তালুক এখনও ঘন জঙ্গলে ভরা। বছর দুয়েক আগে ইলেকট্রিক বাস তৈরির কারখানা হওয়ার কথা ছিল। তবে আপাতত সে সব কিছুই নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তাঁদের আশা ছিল, ওই এলাকায় শিল্পতালুক গড়ে উঠলে, তাঁদের কিছু সংস্থার হবে। জেলাতেই কাজ পাবেন শ্রমিকরা।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মুর্শিদাবাদে এখন শুধুই বোমা শিল্প। পিছিয়ে পড়া জেলা হয়েই থেকে গিয়েছে মুর্শিদাবাদ। দিনের পর দিন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। শিল্পের জন্য কোনও সদিচ্ছা নেই বলেই মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা।





