Murshidabad Unrest: ‘ওরা কোথা থেকে ঢুকছে জানি না’, ‘বাইরের লোকেই’ সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জঙ্গিপুরের সাংসদ
Murshidabad Unrest: বাইরে থেকে যে লোক ঢুকছে সে বিষয়ে একমত ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামও। তান্ডবকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি তাঁর বাড়িও। সামসেরগঞ্জ থানা থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে সেই বাড়িতেও তাণ্ড চালায় দুষ্কৃতীরা।

মুর্শিদাবাদ: আগে মাঠে ছিল পুলিশ, বিএসএফ। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদে নেমেছে আধাসেনা। কিন্তু, ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে তাণ্ডবের নেপথ্যে বারবার উঠে আসছে ‘বহিরাগতদের’ কথা। তাণ্ডবের পিছনে রয়েছে বহিরাগতরাই। স্বীকার করে নিলেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান। বাইরে থেকে যে পরিমাণ দুষ্কৃতিরা সামশেরগঞ্জে ঢুকেছে, তাতে পুলিশ যদি দ্রুততার সঙ্গে কড়া পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এই ধরনের ঘটনা বাড়বে বলেই মনে করছেন তিনি।
জঙ্গিপুরের সাংসাদের স্পষ্ট মত, যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেই বাইরের। তাঁর সাফ কথা, “কোথা থেকে ডুকছে জানি না।” তবে এই ঘটনা আগে কখনও সামশেরগঞ্জে হয়নি বলেই তিনি জানান। একদিন আগে এই সামশেরগঞ্জেই বাবা এবং ছেলেকে কুপিয়ে খুনের ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এ ঘটনা নিয়েও শোক প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাএশি মৃতদের পরিবারকে আর্থিকভাবে দেখার সিদ্ধান্ত যে দলের তরফে নেওয়া হয়েছে এদিন সে কথাও জানান তিনি।
বাইরে থেকে যে লোক ঢুকছে সে বিষয়ে একমত ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামও। তান্ডবকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি তাঁর বাড়িও। সামসেরগঞ্জ থানা থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে সেই বাড়িতেও তাণ্ড চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁরও স্পষ্ট কথা, “বাইরে থেকে লোকজন না ঢুকলে এই ধরনের কাণ্ড ঘটতো না। এতদিন এখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। ভিতরের লোকজন তো রয়েছেই। বাইরে থেকো লোকজন এই এলাকায় ঢুকে তান্ডব করতে শুরু করেছে।” অন্যদিকে রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, সামগ্রিক অশান্তিতে এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে মোট গ্রেফতার ১৫০। এদিনই জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় আন্দোলনের নামে তাণ্ডবের ঘটনায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।





