AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অভিষেকের কাছে ‘মিথ্যা অভিযোগ’! ৭ প্রধানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হুমায়ুনের

Humayun Kabir: বিধায়ক আরও জানিয়েছেন,  একাধিক সংবাদমাধ্যমকে শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে জবাব না দিলে আইনি পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন।

অভিষেকের কাছে 'মিথ্যা অভিযোগ'! ৭ প্রধানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হুমায়ুনের
বিধায়ক হুমায়ুন কবাীর, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2021 | 5:10 PM
Share

মুর্শিদাবাদ: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নিজের দলের সাত প্রধানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন ভরতপুরের বিধায়ক (TMC MLA) হুমায়ুন কবীর। এলাকার উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করা ছাড়াও  কাটামানি নেওয়া-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিধায়কের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত দেন ভরতপুর ব্লকের সাত প্রধান। ওই সাত জনেরই বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন খোদ হুমায়ুন।

শনিবার কংগ্রেস ও বিজেপি থেকে প্রায় ২০০ জন কর্মী-সমর্থককে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করান বিধায়ক। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন। আমি বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর দু’টো উন্নয়ন বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম আমি। তাই আমি কোনও কাজ করতে দিইনি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমনিতেও বিধায়কের সঙ্গে প্রধানের সেই অর্থে কোনও সরাসরি যোগাযোগ নেই। কারণ, উন্নয়নের কাজে এমন কোনও প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু, তারপরেও আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। অথচ সেই লিখিত চিঠি এখনও দেখাতে পারেনি। কিছু সংবাদমাধ্যম তা নিয়ে খবর করেছে। এই ধরনের ঘটনায় আমি অত্যন্ত অসম্মানিত বোধ করেছি। তাই ওই সাত প্রধানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছি।”

পাশাপাশি বিধায়ক আরও জানিয়েছেন,  একাধিক সংবাদমাধ্যমকে শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে জবাব না দিলে আইনি পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ওই সাত প্রধানের এক পঞ্চায়েত প্রধান মোস্তাক আলি টেলিফোনে টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিকে বলেন, “বিধায়ক হিসেবে আমরাই ওঁকে জিতিয়েছি। কিন্তু সেসব ওঁ এখন অস্বীকার করছেন। মানহানির মামলা করলে জবাব কোর্টেই দেব।” তবে, আইনি নোটিস পাওয়ার কথা এদিন সম্পূর্ণই অস্বীকার করেন পঞ্চায়েত প্রধান। ঘটনায়, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব কটাক্ষ হেনে বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস যে রাজনীতি করে তা হল ব্যক্তিগত মুনাফার রাজনীতি। আর নীতি আদর্শের কোন স্থান নেই, সেজন্যই এখন মানহানির মামলা করতে হচ্ছে।” আরও পড়ুন: পরাজয়ের জেরেই পদত্যাগ! অনুব্রতর অঙ্গুলিহেলনেই দুবরাজপুরে তৃণমূলের রদবদল?