Jadavpur University: মৃত্যুর আগে কার সঙ্গে ফোনে কথা? যাদবপুরের অধ্যাপকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে বাড়ছে রহস্য
Jadavpur University: ফিরল সামন্তক দাসের ছায়া, ফের যাদবপুরের আরও এক অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু, উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার ঘরের মধ্যেই সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই অধ্যাপকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
লালগোলা: বছর দুয়েক আগে রহস্যজনকভাবে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপচার্য সামন্তক দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৭। এবার ফের সেই যাদবপুরে আরও এক অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু। দুুপুর ১২টা নাগাদ নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হল ডঃ সুমন নেহারের (৩৭) মৃতদেহ। প্রথামিক তদন্তে পুলিশের অনুমান তিনি আত্মহত্যা করেছেন। যাদবপুরে মেকানিক্য়াল ইঞ্জিনিয়রিং ডিপার্টমেন্টে পড়াতেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার ধুলাউড়ি বালিপাড়া এলাকায়। কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের কোয়ার্টারে থাকছেন।
মঙ্গলবার ঘরের মধ্যেই সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই অধ্যাপকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন দিন তিনেক আগে কলকাতা থেকে লালগোলার বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। তারপর স্বাভাবিকই ছিলেন। মঙ্গলবারই তাঁর ফের কলকাতায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। দুপুর ২টো ৫ এর ট্রেন ধরার কথা ছিল। এরমধ্যে আচমকা কেন তিনি এই কাজ করতে গেলেন তা বুঝতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। শোকে বিহ্বল যাদবপুরের পড়ুয়ারাও।
ঘটনায় শোকস্তব্ধ সুমনবাবুর সহকর্মীরাও। তাঁরা তাঁর পরিবারের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির তরফে পার্থপ্রতিম রায় বলেন, এ ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তাঁর পরিবার-পরিজনকে সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সুমনবাবুর জামাইবাবু আব্দুল মাতিন সরকার বলছেন, “পরশু বাড়ি এসেছিল। এই ক’দিনে ফোনে বেশ কয়েকবার কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখেছি। কিন্তু, কার সঙ্গে জানি না। বাড়িতে তো কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়নি। কী করে এমনটা হল আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।”