Acid Attack: আদালত থেকে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে অ্যাসিড ছুঁড়লেন স্বামী!
Nadia: ছয় বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের।
নদিয়া: নির্মম ঘটনার সাক্ষী থাকল নদিয়া। আদালত থেকেই জোর করে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে অ্যাসিড ছুড়ল স্বামী। ঘটনায় ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আক্রান্ত গৃহবধূর নাম সনিয়ারা মণ্ডল। তিনি তাহেরপুর থানার টাকশালের বাসিন্দা। ছয় বছর আগে সোনিয়ারার বিয়ে হয় তাহেরপুর থানার টাকশালের বাসিন্দা সফিউদ্দিন মণ্ডলের সঙ্গে। তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
সনিয়ারা বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতো স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সেই নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর সহ্য করতে না পেরে গত তিন মাস আগে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন তিনি। এরপর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করার জন্য আজ আইনজীবীর কাছে দ্বারস্থ হন সনিয়ারা। আইনজীবী কাজের জন্য আজ তাঁকে আদালতে আসতে বলেন।
তাঁর কথামত সেখানে উপস্থিত হয় সনিয়ারা ও তার স্বামী শরিফ উদ্দিন মণ্ডল। অভিযোগ,কিন্তু হঠাৎই আদালতের সামনে থেকে তাঁকে জোর করে টানতে-টানতে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় সফিউদ্দিন। এরপর গাড়ি দাঁড় করায় এলাকার নানা স্বাদ নবারুণ সংঘ এর মাঠে। এদিকে, মেয়েকে খুঁজতে-খুঁজতে সেখানে এসে পৌঁছায় সোনিয়ার মা এবং কাকা।
এই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলা বলেন, “বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার উপর অত্যাচার করত। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসি। পরে বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করি। ওরা আমার ছেলেকেও আমার বিরুদ্ধে খারাপ জিনিস শিখিয়েছিল। আজ যখন আদালতে উপস্থিত হই। আমার স্বামী আমাকে জোর করে টানতে-টানতে গাড়িতে তোলে। এরপর একটা মাঠের সামনে দাঁড় করিয়ে পকেট থেকে কোনও একটা শিশি বের করে। আমি জিজ্ঞাসা করতে থাকি কীসের শিশি?কোনও কিছু উত্তর না দিয়েই আমার মুখে উপর ছুঁড়ে মারে। আমার মা-কাকার শরীরেও অ্যাসিড লেগে পুড়ে গিয়েছে।”
ওই জায়গাতেই বাদানুবাদ চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। অভিযোগ, সেই সময় পকেট থেকে অ্যাসিডের সিসি বের করে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে স্ত্রী সোনিয়ার মুখে। মেয়েকে বাঁচাতে ওই গৃহবধূর মা এবং কাকার শরীরেও আ্যসিড লাগে। বর্তমানে ওই গৃহবধূ রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি।পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: KMC Election Result 2021: ‘নিজের বাড়ি-এলাকা নিজের দখলে রাখলাম’, শোভনের থেকে বেশি ভোটে জিতলেন রত্না