Nadia: তামান্নার মায়ের সঙ্গে দেখা করেই পুলিশ সুপারের অফিসে NCW সদস্য, কী বলছেন অর্চনা?
Nadia: এদিন তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কালীগঞ্জে আসেন অর্চনা মজুমদার। তামান্নার মায়ের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি বলেন, "নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলাম। মায়ের চোখের সামনে রাজনৈতিক দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়ে মারল ছোট মেয়েটাকে।"

কালীগঞ্জ: কালীগঞ্জে মৃত নাবালিকা তামান্না খাতুনের মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) সদস্য অর্চনা মজুমদার। তামান্নার মায়ের কাছ থেকে সব ঘটনা শুনলেন তিনি। ঘটনার ১৫ দিন পরও ২৪ জন অভিযুক্তের মধ্যে মাত্র ১০ জন ধরা পড়ায় উষ্মা প্রকাশ করলেন। এদিন তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর কৃষ্ণনগরে SP অফিসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গেও বৈঠক করেন অর্চনা মজুমদার। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
গত ২৩ জুন কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। তৃণমূলের বিজয়োল্লাসের সময় ছোড়া বোমায় মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর তামান্নার। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধীরা। তামান্নার মা-ও অভিযোগ করেন, তাঁরা সিপিএম-কে ভোট দেন বলে এই হামলা চালানো হয়েছে। থানায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ১০ জন ধরা পড়েছে।
এদিন তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কালীগঞ্জে আসেন অর্চনা মজুমদার। তামান্নার মায়ের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি বলেন, “নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলাম। মায়ের চোখের সামনে রাজনৈতিক দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়ে মারল ছোট মেয়েটাকে।” তিনি আরও বলেন, “২৪ জনের মধ্যে মাত্র ১০ জন ধরা পড়েছে। বাকিদের যাতে দ্রুত ধরা হয় এবং কঠোর পদক্ষেপ করা হয়, তা নিয়ে পুলিশকে বলব। তামান্নাকে যারা মারল, তাদের যাতে কঠোর শাস্তি হয়, তা দেখবে জাতীয় মহিলা কমিশন।”
এদিন বিকেলে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন অর্চনা মজুমদার। যদিও জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে না থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীতকুমারের সঙ্গে দেখা করেছেন অর্চনা মজুমদার। এবং জেলার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর কালীগঞ্জে নাবালিকা হত্যার ঘটনার তদন্ত নিয়ে কিছুটা সন্তোষ প্রকাশ করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য।
জানা গিয়েছে, মূলত বেশ কয়েকটি বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক করেছেন তিনি। প্রথমত বোমা উদ্ধারের ক্ষেত্রে আক্রান্ত্র ও তার আশপাশের বাড়ি তল্লাশি করলেও যারা অভিযুক্ত তাদের বাড়ি তল্লাশি করেনি পুলিশ। দ্বিতীয়ত, ওখানে যে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে তাতে স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডিউটি দিতে বারণ করেছেন। এতে তথ্য দুষ্কৃতীদের কাছে চলে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। তৃতীয়ত ঘটনার জায়গাটির স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এবং সংরক্ষণ করতে বলেছেন। পরবর্তীতে যদি অন্য কোনও তদন্ত এজেন্সি এই তদন্তের ভার নেয়, তদন্তের ক্ষেত্রে সুবিধা হতে পারে।
পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্চনা মজুমদার জানিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে সমস্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে বলে জেলা পুলিশকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন তাঁকে। তামান্নার বাড়ির কাছে পুলিশ পিকেট বসানো নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট বলেও জানান।

