School Girl Suicide: দাদার কাছে বকুনি খাওয়ার পর ছাত্রীকে এমন অবস্থায় দেখবেন কল্পনাও করেনি পরিবার!
Nadia: এরপর বুধবার সকাল নাগাদ ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে নেয় রাখী। পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
নদিয়া: বাড়ি ফিরতে দেরী হয়েছিল সেই কারণে দাদার কাছে বকুনি খেয়েছিলেন ছাত্রী। অপমানে, রাগে আত্মঘাতী হলেন ছাত্রী। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া ওই পড়ুয়ার পরিবারে।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রীটির নাম রাখী সমাদ্দার। সে একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া। মঙ্গলবার অর্থাৎ শিবরাত্রীর দিন উপবাস করে ছাত্রীটি। এরপর বাড়ির অনুমতি নিয়েই কালনার ১০৮ শিবমন্দিরে পুজো দিতে যায় সে। এরপর বাড়িতে আসতে দেরী হয় তাঁর। বোনকে দেরী করে বাড়িতে আসতে দেখে রাগ হয় দাদার। বকাবকি করতে থাকে তাকে। এই ইস্যুতে ভাই-বোনের মধ্যে কথাকাটাকাটিও হয়। এতে অপমানে লাগে নাবালিকার।
এরপর বুধবার সকাল নাগাদ ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে নেয় রাখী। পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে গোটা পরিবার, এছাড়াও এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। পরিবার জানান ওই স্কুলছাত্রী শান্তিপুর নৃসিংহ পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ এছাড়াও মৃতদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
মৃতার কাকা জানান, “শিবরাত্রীর উপোস করেছিল আমার ভাইঝি। এবার কালনার কাছে একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ছিল সে। বাড়ি ফিরতে ওর সাতটা বেজে যায়। তখনই ওর দাদা ফোন করে বকাবকি করে। বোন আর দাদার ঝামেলা চলতে থাকে অনেকক্ষণ। এরপর ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে নেয় ও। পরে বাড়ির লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা বলে ও আর নেই।”
আরও পড়ুন: Balurghat Road Accident: ‘একটা শব্দ আর…’ চোখের সামনেই আচমকা বহুতল থেকে পড়ে গেলেন মিস্ত্রি