কৃষ্ণনগর: বঙ্গ-ভোটে অন্যতম চর্চিত লোকসভা আসন কৃষ্ণনগর। চতুর্থ দফার ভোটের সকালে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগে সরব হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণনগরের রাজমাতা অমৃতা রায়। একেবারে কোতয়ালি থানায় ঢুকে আইসির সঙ্গে একপ্রস্থ বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। ভোটের দিনের এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকেও। যদিও তৃণমূল প্রার্থী এসব বিষয়কে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। মহুয়ার বক্তব্য, ‘ওনার এখন কী মানসিক অবস্থা, উনি এখন কী করছেন, সেটা তাঁকে জিজ্ঞেস করুন।’
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী বলেন,’ভোটাররা সব দেখছেন। ভোটের দিন আমি ভোট করছি। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হোক, সেটাই চাই।’ একইসঙ্গে অমৃতাকে রাজভবনে গিয়ে নালিশ জানানোর পরামর্শ দিয়ে মহুয়ার খোঁচা, ‘থানা তো খুব ছোটখাটো ব্যাপার। রাজমাতা… রাজভবন… বুঝতে পারছেন না আপনারা? বুঝে নিন।’ লোকসভা ভোট পর্বে আজ থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন অমৃতা রায়। সেখান থেকে বেরিয়ে অমৃতা বলেন, ‘পুলিশ ডিউটি করবে। তার মানে এমন নয় যে পুলিশ উর্দি পরে গুন্ডাগিরি করবে।’
উল্লেখ্য, লোকসভা থেকে যেদিন মহুয়া মৈত্র বহিষ্কার করা হয়েছিল, সেদিন তীব্র হুঙ্কার শোনা গিয়েছিল মহুয়ার গলায়। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার লাইন উদ্ধৃত করে একেবারে রণং দেহি মেজাজে বলেছিলেন, “আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/ স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই।” তারপর আজ আবার লোকসভা নির্বাচন। আবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন মহুয়া। কৃষ্ণনগর থেকেই। তাঁর বিপরীতে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন কৃষ্ণনগরের রাজমাতা অমৃতা রায়। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণনগর থেকে কার মুখে হাসি ফোটে।