CBI On Hanskhali Case: হাঁসখালির সেই শ্মশানে সিবিআই, হাতে এল আধপোড়া পোশাকের অংশ, চারপাশে ছড়িয়ে ছাই…
Hanskhali: এদিন বিজেপির তথ্য অনুসন্ধান দল হাঁসখালিতে গিয়েছিল। যাদের পোশাকি নাম 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি'।
নদিয়া: হাঁসখালির নাবালিকা মৃত্যু তদন্তে এবার শ্মশানস্থান ঘুরে দেখল সিবিআই। যে শ্মশানে ওই নাবালিকাকে দাহ করা হয়, শুক্রবার সেখানে যায় তদন্তকারীদের একটি দল। সরেজমিনে খতিয়ে দেখে তারা। যেখানে ওই নাবালিকাকে দাহ করা হয়েছিল, সেখান থেকে পোড়া জামা কাপড়ের যেটুকু অংশ পাওয়া গিয়েছে, নমুনা হিসাবে তা উদ্ধার করে সিবিআই। শ্মশানকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদও করে তারা। হাঁসখালিকাণ্ডের ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তদন্তে সিবিআই। চলতি মাসের শুরুতেই নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দিন রাতে মারা যায় সে। ঘটনায় নাম জড়ায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলের। আপাতত অভিযুক্ত সিবিআইয়ের হেফাজতে। এরইমধ্যে শুক্রবার সকালে ফের অভিযুক্তের বাড়িতে যায় সিবিআই। বিকেলে যায় শ্মশানে। যেখানে নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল, সেখান থেকে চিতাভস্ম সংগ্রহ করে তারা। সিবিআই সূত্রে খবর, পোড়া হাড়ের টুকরো পেয়েছে তারা। সঙ্গে কিছু আধ পোড়া পোশাক। নমুনাগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
অন্যদিকে এদিন বিজেপির তথ্য অনুসন্ধান দল হাঁসখালিতে গিয়েছিল। যাদের পোশাকি নাম ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’। তারা দাবি তুলেছে, এ রাজ্যে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন দরকার। এদিন নির্যাতিতার বাড়িতে যায় তারা। কথা বলে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে। জেপি নাড্ডার নির্দেশে তৈরি করা হয়েছে পাঁচ সদস্যর এই দল। সেখানে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ রেখা ভার্মা, বিজেপির জাতীয় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বনতি শ্রীনিবাসন, বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর,মালদহের ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা চৌধুরী, উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী বেবি রানি মৌর্য। যদিও বেবি রানি এদিন ছিলেন না।
রেখা ভার্মা বলেন, “মানুষ ভাল নেই। যিনি ক্ষমতার মসনদে বসে আছেন, তাঁর ইস্তফা দেওয়া দরকার। এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া দরকার।” শ্রীরূপা চৌধুরী বলেন, “পরিবার বীভৎস সেই রাতের কথা বলল। সারা রাত আমি মেয়েটাকে কোলে নিয়ে বসে আসি। আমি ডাক্তারের কাছে যেতে পারছি না। আমি পুলিশের কাছে যেতে পারছি না। কারণ লোকজন বাড়িটা ঘিরে ফেলেছে। হুমকি দিচ্ছে, কাউকে কিছু বললে প্রাণনাশ হবে, বাড়ি পুড়িয়ে দেবে।”
যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ওরা তো সিবিআই চেয়েছিল, সিবিআই এসে গিয়েছে। তা হলে আবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কী জন্য? আসলে নিজেদের দলীয় লাইনটা সিবিআইয়ের উপর চাপিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে যোগী রাজ্য, হাথরস, উন্নাও! সেখানে শুধু নির্যাতিতাকে অত্যাচার নয়, পরিবারের লোককেও খুন করা হয়। তারা আসছে এখানে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের নামে।”
আরও পড়ুন: Vandalism at Polba: বাড়িতে টিভি দেখতে পারছিলেন না, তা বলে কেবল অপারেটরের উপর এমন ‘প্রতিশোধ’…