নদিয়া: পঞ্চায়েত নির্বাচনের বলি আরও এক। এবার ভোট দিতে গিয়ে খুন হতে হল এক ভোটারকে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। নদিয়ার চাপড়ার ঘটনা। এই মুহূর্তে দেহটি চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে রাখা রয়েছে। আহতরাও সেখানেই চিকিৎসাধীন। নিহতের নাম হামজার আলি আল সোনা।
ভোটের সকাল থেকেই চাপড়ার বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সকাল থেকে এলাকায় দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের কর্মীরা বিভিন্ন বুথে বিরোধীদের ঢুকতেই দেননি। কোথাও ছাপ্পা ভোট, ভোট বন্ধ রেখেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই পরিস্থিতিতে চাপড়ার একটি বুথে জোটের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ঝামেলা শুরু হয়। মূলত ভোটের লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়ায়।
সেই সময়ে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি প্রতিবাদ করেন। তা নিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভোটের লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা ছড়ায়, তা রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বুথের সামনেই চলতে থাকে অস্ত্র হাতে উন্মত্ত দাপাদাপি। ভিড়ের মধ্যেই চলে গুলি।
গুলিবিদ্ধ হন হামজার আলি আল সোনা নামে ওই ব্যক্তি। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। যতক্ষণে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, মৃত্যু হয় তাঁর। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। প্রত্যেককে উদ্ধার করে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এত কিছু পরও কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? কোথায় পুলিশ?