Nadia: ‘গাছের ফুল তোলায় মাকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে সিভিক’, বিস্ফোরক অভিযোগ নদিয়ায়
Nadia: তাঁর আরও অভিযোগ, প্রতিবেশী ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ও অন্যরা তাঁদের বাড়িতে এসে বারবার তাঁর মাকে অপমান করেন। লিখিত অভিযোগে মৌসুমি লিখেছেন, "প্রধান অভিযুক্ত হুমকি দেয়, জানিস আমি পুলিশের লোক। তোর কী অবস্থ করব, ভাবতেও পারবি না।"

নদিয়া: গাছের ফুল তোলায় এক মহিলাকে মারধর ও অপমানের অভিযোগ এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। মৃত মহিলার মেয়ের অভিযোগ, তাঁর মাকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর পরিবারের লোকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুর এলাকায়।
মৃত মহিলার নাম সরস্বতী দে (৫০)। তাঁর মেয়ে মৌসুমী দে হালদার শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে ফুল তুলতে গিয়েছিলেন তাঁর মা। সেইসময় শান্তিপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার অমিত করাতি ও তাঁর বাড়ির লোকজন সরস্বতীদেবীকে চোর সন্দেহে অপমান করেন। কান ধরে উঠবস করান। বেঁধেও রাখেন। চড় থাপ্পড় মারেন বলেও অভিযোগ মৌসুমি দের।
তাঁর আরও অভিযোগ, প্রতিবেশী ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ও অন্যরা তাঁদের বাড়িতে এসে বারবার তাঁর মাকে অপমান করেন। লিখিত অভিযোগে মৌসুমি লিখেছেন, “প্রধান অভিযুক্ত হুমকি দেয়, জানিস আমি পুলিশের লোক। তোর কী অবস্থ করব, ভাবতেও পারবি না।”
শনিবার ভোরে সরস্বতী দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় গোয়ালঘর থেকে। শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৌসুমির অভিযোগ, বাড়িতে আর কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে অভিযুক্তরা রাতের অন্ধকারে তাঁর মাকে জোর করে গোয়ালঘরে নিয়ে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। শান্তিপুর থানার তরফে এই নিয়ে এখনও কোনও বক্তব্য় পাওয়া যায়নি।





