সন্দেশখালি: সাপের কামড়ে (Snake Bite) মৃত্যু গৃহবধূর। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) সন্দেশখালি থানা এলাকার বীরপাড়া গ্রামে। মৃত ওই গৃহবধূর নাম সুলতা মণ্ডল। বয়স ৫২ বছর। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা এদিন সকালে বাড়ির খামারে হাঁসের ডিম আনতে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই ঘটে এই বিপত্তি। হাঁসের ডিম তুলতে গেলে একটি বিষধর সাপের কামড় খান তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুলতাদেবীর শরীরে তীব্র জ্বালার অনুভূতি হতে থাকে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা ও আশপাশের প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সন্দেশখালির এক গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
যদিও কোন সাপের কামড়ে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। মৃত গৃহবধূর ভাইপো সঞ্জয় মণ্ডল জানান, বাড়ির খড়-গাদা থেকে মুরগির ডিম তুলতে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটে। এরপর ওই মহিলাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এদিকে ওই মহিলার মৃত্যুর পর পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এদিকে কী কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য দেহটি ময়নাতদন্ত করতে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
সুন্দরবনের একটি বড় অংশের মানুষ হাঁস-মুরগি প্রতিপালন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। আর তাতেই ঘটে গেল এই বিপত্তি। যদিও কোন সাপের কামড়ে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে চিকিৎসকদের অনুমান, বিষধর কোনও সাপ কামড়েছিল মহিলাকে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে মূলত চার ধরনের বিষধর সাপের দেখা মেলে যাদের কামড় মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। গোখরো, কেউটে, চন্দ্রবোড়া ও কালাচ। আজকের দিনে সমস্ত সরকারি হাসপাতালেই অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়। হিমোটক্সিক বিষ হোক বা নিউরোটক্সিক, উভয় ধরনের বিষের ক্ষেত্রেই এই অ্যান্টিভেনম কাজ করে। ফলে কোন সাপ কামড়েছে, সেটি না জানা থাকলেও অ্যান্টিভেনম ইঞ্জেকশন দেওয়া যায়। ওই মহিলাকে যদি সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেত, তাহলে হয়ত প্রাণে বাঁচানো যেত বলেই মনে করছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ।