Naihati TMC BJP Clash : নৈহাটিতে বিজেপি কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ, পৌরপ্রধানের ছেলের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

Naihati TMC BJP Clash : স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত কয়েক দিনে নৈহাটিতে দুই দলের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিলই। এরইমধ্যে সৌমেন সরকারকে মারধরের অভিযোগ ওঠে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।

Naihati TMC BJP Clash : নৈহাটিতে বিজেপি কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ,  পৌরপ্রধানের ছেলের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 6:02 PM

নৈহাটি : নৈহাটি (Naihati) পুরসভার পৌরপ্রধানের ছেলে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ ব্যারাকপুর আদালতের। যদিও পুলিশ তাঁকে দশদিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিল। বিজেপির (BJP) এক কর্মীকে মারধর করার অপরাধে আদালতের এই নির্দেশ। প্রসঙ্গত, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে (TMC-BJP Clash) বুধবার রাত থেকে ব্যাপক উত্তেজনা নৈহাটিতে। এ ঘটনায় দুই দলের কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হন বলে জানা যায়। গুরুতর আহত হন বিজেপি নেত্রী শম্পা সরকারের স্বামী সৌমেন সরকার। ভর্তি কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে। এদিকে এ ঘটনায় একদিকে যেমন বিজেপির বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তুলে থানার দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। তেমনই শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপিও। সৌমেন সরকারকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে নৈহাটি পুরসভার পৌরপ্রধানের ছেলে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় লাল্টু নামে আরও এক স্থানীয় নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। খোঁজ চলছে আরও চার অভিযুক্তের। তাঁরা প্রত্যেকেই শাসকদলের কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। এদের সকলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির  ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৪ বেআইনি অস্ত্র রাখার মামলা রুজু হয়েছে। মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় এলাকায় তৃণমূলের যুবনেতা বলে পরিচিত। একইসঙ্গে তিনি সেচমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও খবর। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত কয়েক দিনে নৈহাটিতে দুই দলের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিলই। এরইমধ্যে সৌমেন সরকারকে মারধরের অভিযোগ ওঠে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। যদিও অভিজিতের দাবি, তাঁকে দেখেই প্রথমে মারধর করেছিল সৌমেন। প্রতিবাদ করাতেই তাঁর বাইক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

আহত সৌমেনের দাদা সঞ্জয় সরকার বলেন, “সৌমেন বাড়ি থেকে বেরিয়ে তখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তখন ওরা রড, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এখনও রাস্তায় রক্ত পড়ে রয়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এ কাজ করেছে। গোটা ঘটনার মাথায় রয়েছে অভিজিৎ। বিজেপি করার অপরাধেই সৌমেনকে মারধর করেছে। চারদিকে যা দুর্নীতি হচ্ছে সে বিষয়ে মুখ খোলাতেই ওদের রাগ। সহ্য করতে না পেরে বিজেপির উপর হামলা হচ্ছে। এর আগে অভিজিৎ ও তাঁর বাবা অশোক চট্টোপাধ্যায় আমার বাড়িতেও হামলা করেছে। আমরা পুলিশকেও জানিয়েছিলাম।”