AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Baranagar Councillor: ভাইরাল ভিডিয়ো: তৃণমূল কাউন্সিলরকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক ‘মার’ মদ্যপ যুবকদের

Baranagar Councillor: বরানগর পৌরসভার প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান বর্তমান বিদ্যুৎ বিভাগের পুরপরিষদ সদস্য জয়ন্ত রায়। বরানগর তাঁতি পাড়ার কাছে বাস থামিয়ে এলাকারই কয়েকজন যুবক মদ্যপ অবস্থায় যাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলা করছিলেন।

| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2023 | 5:42 PM
Share

বরানগর: বাসের যাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলা করছিলেন কয়েকজন মদ্যপ যুবক। প্রতিবাদ করেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। তাতেই রাস্তায় ফেলে কাউন্সিলরকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এলাকারই কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁরা আবার এলাকায় তৃণমূলেরই কর্মী বলে পরিচিত। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরে। মারধরের গোটা দৃশ্য বন্দি হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে, কাউন্সিলরের নাকে গুরুতর চোট লেগেছে। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বরানগর পৌরসভার প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান বর্তমান বিদ্যুৎ বিভাগের পুরপরিষদ সদস্য জয়ন্ত রায়। বরানগর তাঁতি পাড়ার কাছে বাস থামিয়ে এলাকারই কয়েকজন যুবক মদ্যপ অবস্থায় যাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলা করছিলেন। সামনের একটি মিষ্টির দোকানে সেসময়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন কাউন্সিলর জয়ন্ত।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সে সময়ে কাউন্সিলর মদ্যপ যুবকদের সামলানোর চেষ্টা করেন। সেখান থেকে তাঁদের চলে যেতে বলেন। তাঁদের ধাক্কা দিয়ে সরে যেতে বলছিলেন কাউন্সিলর। সেসময় আচমকাই কয়েকজন যুবককে কাউন্সিলরকে মারধর করা শুরু করেন। কাউন্সিলরকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর চোখেমুখে এলোপাথাড়ি ঘুষি মারতে থাকেন। তাতে কাউন্সিলরের নাকে গুরুতর আঘাত লাগে।

সামনের মিষ্টির দোকানে লাগানো ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরায় গোটা দৃশ্য ধরা পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বরানগর থানার পুলিশ। পুলিশ ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ২ জনকে শনাক্ত করে। তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তৃণমূল কাউন্সিলর জয়ন্ত রায়কে রাস্তায় ফেলে মারধরের ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ঘটনার পর স্থানীয় এক বিজেপি নেতা নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। তাতে বিতর্ক আরও বাড়ে। আক্রান্ত কাউন্সিলর জয়ন্ত রায় আবার এই ঘটনায় বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন। জয়ন্ত রায়ের বক্তব্য, “আমরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হই। কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে ওই যুবকদের ঝামেলা হচ্ছিল। ওরা যে মদ্যপ ছিল, সেটাও আমি বুঝতে পারিনি। হঠাৎ দেখি ওই যাত্রীকে মারধর করছিল। তাতেই আমি বাধা দিয়েছিলাম। তারপর ওরা আমাকে মারধর করা শুরু করে।” যদিও ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাজীব মিশ্রের প্রতিক্রিয়া, “এই ঘটনা সম্পূর্ণ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পাশের ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নীলু গুপ্তার স্বামী অজয় গুপ্তার লোকজন তাঁকে মারধর করেছেন।”