ব্যারাকপুর: বুধবার আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে চলা পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Culcutta High Court)। পাশাপাশি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ব্যারাকপুর পুলিশকে নির্দেশ দেন, যাতে অন্তত পাঁচজন পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হয় কৌস্তভের বাড়িতে। অবশেষে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে পাঁচজন নিরাপত্তারক্ষী ও তাঁর সঙ্গে একজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হল।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ১২ টা বেজে যাওয়ার পরও নিরাপত্তারক্ষীদের কৌস্তভের বাড়ির সামনে দেখতে পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে কংগ্রেস নেতা সংবাদমাধ্যমের সামনেই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নগরপাল অলোক রাজোরিয়াকে ফোন করেন। এবং তার নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চান। সেই সময়ে নগরপাল জানান যে, তাঁর কাছে হাইকোর্টের নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। আইনমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর রাত ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ তাঁর বাড়িতে পাঁচ জন নিরাপত্তারক্ষী এবং সঙ্গে একজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে বলতে গিয়ে কৌস্তভ বাগচী বলেন, “পুলিশের সব কাজ মাঝরাতে। দুপুরের মধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও নিরাপত্তা দিতে দিতে রাত সাড়ে ১২টা বেজে গেল। সম্পূর্ণ বিষয়টি হয়রানি সূচক। তবে এর উত্তর প্রশাসনকে দিতে হবে।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে মধ্যরাতে পুলিশ পৌঁছয় কৌস্তভ বাগচির বাড়ি। সাত সকালে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। পরের দিন তিনি জামিন পেলেও, পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এবার কৌস্তভের বিরুদ্ধে চলা পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী চার সপ্তাহ এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে। কোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনও থানা এই নিয়ে কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কৌস্তভ। বুধবার সেই মামলায় স্বস্তি মেলে তাঁর। সেই সঙ্গে মাঝরাতে পুলিশের অভিযান নিয়েও রিপোর্ট তলব করা হয় আদালতের তরফে। বটতলা থানার অতি সক্রিয়তা নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।