Basirhat Old Woman: ছেলে বার করে দিয়েছিলেন, পাঁচ বছরের আইনি লড়াইয়ে জিতে স্বামীর ভিটে ফিরে পেলেন বৃদ্ধা
Basirhat Old Woman: মাকে সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। বৃদ্ধা তাতে রাজি না হলে, তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ।
উত্তর ২৪ পরগনা: সম্পত্তি হাতাতে বৃদ্ধা মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ছেলের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে পাঁচ বছর পর বাড়ি ফিরে পেলেন সেই নিগৃহীতা বৃদ্ধা। স্বামীর ভিটে পেতে দীর্ঘ পাঁচ বছর আইনি লড়াই চালিয়েছিলেন মা। আজ তারই জয়। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বিথারি-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া গ্রামের ঘটনা নজির তৈরি করল।
বছর ৬৫ এর অঞ্জলি বালা ঘোষ। স্বামী নাড়ু ঘোষের মৃত্যু হয় ৭ বছর আগে। বৃদ্ধার শেষ সম্বল ছিল স্বামীর ভিটে আর ১৫ কাঠা জমি। একমাত্র ছেলে দীপঙ্কর ঘোষ পেশায় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী। কর্মসূত্রে বসিরহাটে থাকে। অভিযোগ, বাবা মৃত্য়ুর পর থেকে সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
মাকে সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। বৃদ্ধা তাতে রাজি না হলে, তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ওই বৃদ্ধা। তাতেও সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় অন্য পথ বেছে নেন ছেলে। অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে ছেলে জাল দলিল তৈরি করে ওই সম্পত্তি ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে বিক্রি করে দেন।
তারপর নিজের মাকে বেধড়ক মারধর দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। ওই বৃদ্ধার স্বামী তাঁর স্ত্রীর নামে পুরো সম্পত্তি লিখে দিয়েছিলেন। প্রথমে বেশ কয়েকদিন বাড়ির সামনেই খোলা আকাশের নীচে ছিলেন তিনি। তারপর মেয়ে মাকে নিজের শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যান।
তারপর শুরু হয় ভিটেবাড়ি ফেরানোর আইনি লড়াই। ছেলের বিরুদ্ধে প্রথমে স্বরূপনগরের থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধা। তারপর বসিরহাট আদালতে গিয়ে আইনের লড়াই শুরু করেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর লড়াই করেন।
বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ দেন। স্বরূপনগর থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই বৃদ্ধাকে যেন তার বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে বাড়ির গেটের তালা কেটে বৃদ্ধাকে ঘরে ঢোকানো হয়।
স্বামীর ভিটে ফিরে পেয়ে কান্না ধরে রাখতে পারেননি বৃদ্ধা। প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ, কাঁদতে কাঁদতেই বললেন। আফসোস করে বলেন, ‘কোনও সন্তান যেন তাঁর মায়ের সঙ্গে এরকম না করেন।’