BJP MLA : ‘শুধরে যান, নইলে জুতোপেটা খাবেন’, প্রধানকে আক্রমণ পদ্ম বিধায়কের, ‘মতিভ্রম হয়েছে’, পাল্টা তোপ তৃণমূলের

BJP MLA : হাতে আর মাত্র কয়েক মাস। তারপরেই বেজে যাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণ দামামা। তার আগেই আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে রোজই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন পদ্ম নেতারা।

BJP MLA : 'শুধরে যান, নইলে জুতোপেটা খাবেন', প্রধানকে আক্রমণ পদ্ম বিধায়কের, ‘মতিভ্রম হয়েছে’, পাল্টা তোপ তৃণমূলের
বিজেপি (BJP) বিধায়ক স্বপন মজুমদার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2023 | 10:48 PM

বনগাঁ : “সাবধান করছি শুধরে যান। নাহলে যাঁরা ঘর পায়নি তাঁরা কিন্তু আপনাকে অফিস থেকে টেন বের করে জুতোপেটা করবে।” উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লকের গাড়াপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাস যোজনা সহ ১২ দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দিতে এ ভাষাতেই পঞ্চায়েত প্রধানকে নিশানা করলেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) অশোক কীর্তনিয়া। একইসঙ্গে নাম না করে “বেইমান,অপদার্থ, লাফাঙ্গা” বলে কটাক্ষ করলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। এদিন বিজেপির কর্মসূচিতে অশোক কীর্তনীয়ার সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) বিধায়ক স্বপন মজুমদার। পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি হলে তিনিও “রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার” হুশিয়ারি দেন এদিনের কর্মসূচি থেকেই। “পায়ের তলার মাটি সরছে বিজেপির, তাই এসব বকছে।” পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূলও।

হাতে আর মাত্র কয়েক মাস। তারপরেই বেজে যাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণ দামামা। তার আগেই আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে রোজই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন পদ্ম নেতারা। সরগরম বাংলার রাজনৈতিক মহল। এদিন স্বপন মজুমদারের পাশাপাশি অশোক কীর্তনিয়ার কথাতেও উঠে এল পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গ। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করে তিনি বলেন, “তৃণমূল যে চোখে আপনাদের দিকে তাকাবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই চোখে তৃণমূলকে উত্তরটা দিয়ে দেবেন। ওরা যদি অত্যাচার করে সেই অত্যাচার আমাদের প্রতিহত করতে হবে। ভারতীয় জনতা পার্টি জনগণের স্বার্থে লড়াই করে। আগামীতেও এই লড়াই চালিয়ে যাবে।” আর ঠিক এরপরেই নাম না করে আক্রমণ শানান বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে। আক্রমণ করেন প্রধানকেও। 

চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে তিনি বলেন, “বিগতদিনে এই বিধানসভায় আপনারা যাকে নির্বাচন করেছিলেন সে একটা অপদার্থ, লাফাঙ্গা। ও বেইমান। নিজের সুবিধার জন্য বিজেপিতে এসে নিজের ঘর গুছিয়ে নিয়ে পুনরায় তৃণমূল চলে গিয়েছে। আমি বারণ করেছিলাম ওকে টিকিট না দেওয়ার জন্য। ভারতীয় জনতার কর্মীদের রক্তের বিনিময়ে জয়ী হয়ে ফের তৃণমূলে চলে গিয়েছে। আমার বিজেপির কর্মী সমর্থকদের কাছে একটাই বার্তা, আপনারা যেভাবে তৃণমূলের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছিলেন তেইশের নির্বাচনেও সেই একইভাবে লড়াই করুন।” ‘সাবধান’ করেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানকেও।

কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “আপনাকে সাবধান করছি শুধরে যান। নইলে আপনাকে জেলের ঘানি টানতে হবে। যাঁরা ঘর পায়নি তাঁরা কিন্তু আপনাকে অফিস থেকে টেন বের করে জুতোপেটা করবে। কারণ আপনারা জনগণের টাকা লুটেপুটে খাচ্ছেন। জনগণের নায্য অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করছেন।” মতিভ্রম হয়েছে বিজেপি নেতাদের, ভুলভাল বকছে। পাল্টা এ ভাষাতেই আক্রমণ শানান তৃণমূলের বনগাঁ জেলা সভাপতি বিশ্বজিত দাস। কড়া আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছে। মতিভ্রম হচ্ছে। বুঝতে পারছে আগামীতে আমাদের আর কোনও জায়গা নেই। তাই বিভ্রান্ত হয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলে প্রচারে থাকার চেষ্টা করছে। সহজ কথায় মানুষ ওদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত সরে যাচ্ছে।”