BSF Detained a Infiltrator: কিছুতেই শুনছিল না বারণ! সীমান্তেই বাংলাদেশি সরকারি কর্তাকে বুঝিয়ে দিল BSF
BSF Detained a Infiltrator: শনিবার সন্ধ্য়ায় স্বরূপনগরের হাকিমপুর সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় চমকে ওঠেন বিএসএফ জওয়ানরা। দেখেন একজন 'ভদ্রলোক' বাংলাদেশ থেকে ধীরে ধীরে সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসছেন।

উত্তর ২৪ পরগনা: পোশাক দেখে বোঝাই যাবে না। মনে হবে একেবারে ছাপোষা ঘরের লোক। কিন্তু সেও এমনটা করতে পারে? সেটাই এখন ভাবাচ্ছে বিএসএফকেও। শনিবার সন্ধ্য়ায় স্বরূপনগরের হাকিমপুর সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় চমকে ওঠেন বিএসএফ জওয়ানরা। দেখেন একজন ‘ভদ্রলোক‘ বাংলাদেশ থেকে ধীরে ধীরে সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসছেন।
কে সেই ব্যক্তি, স্বাভাবিক নিয়মেই এই প্রশ্ন জাগে তাদের মনে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনাও বেড়ে চলেছে। বাংলাকে ‘ট্রানজিট রুট‘ করে ঢুকে পড়ছে বহু অনুপ্রবেশকারী। সেই কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ এসেছে। আবার এই সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে তো আগামী মাসেই কমান্ডদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। এই আবহে ছাপোষা পোশাকে এগিয়ে আসছে কে?
বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি ধীরে ধীরে সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসতেই তাকে থামতে বলেন জওয়ানরা। কিন্তু তাদের কথা কানেই তুলতে চান না তিনি। এগিয়ে আসেন তাদের দিকে। তখনই ওই ব্যক্তিকে আটক বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা।
জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তিনি বাংলাদেশের সরকারি কর্তা। কাজ করেন সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। কিন্তু একজন বাংলাদেশি আধিকারিককে হঠাৎই অনুপ্রবেশের পথ বেছে নিতে হল কেন? আদৌ কি তিনি স্বরাষ্ট্র দফতরের কোনও আধিকারিক নাকি গোটাটাই ভুয়ো, সেই নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। আপাতত ওই ব্য়ক্তি স্বরূপনগর থানার সামনে বিএসএফ পোস্টে বসিয়ে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদও চলছে। কেন তিনি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ঢুকে পড়লেন, তাও জানার চেষ্টা করছেন জওয়ানরা।

