ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে নিহত আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে সিবিআই
Post Poll Violence: নির্বাচনের অনতিপরেই, ৩মে দেগঙ্গার কদম্বগাছির উলা গ্রামের বাসিন্দা হাসানুর জামান নামের ওই আইএসএফ কর্মীকে মাঠের মধ্য়ে বোমা মেরে খুন করা হয়েছিল। মাঠে কাজ করতে গিয়ে বোমার আঘাতে মৃত্য়ু হয় তাঁর।
উত্তর ২৪ পরগনা: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence) তদন্তে এ বার নিহত আইএসএফ কর্মী হাসানুর জমানের বাড়িতে পৌঁছলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার দত্তপুকুরের উলাতে নিহত আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে এসে পৌঁছলেন সিবিআইয়ের (CBI) প্রতিনিধিদল। এদিন, মৃতের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
নির্বাচনের অনতিপরেই, ৩মে দেগঙ্গার কদম্বগাছির উলা গ্রামের বাসিন্দা হাসানুর জামান নামের ওই আইএসএফ কর্মীকে মাঠের মধ্য়ে বোমা মেরে খুন করা হয়েছিল। মাঠে কাজ করতে গিয়ে বোমার আঘাতে মৃত্য়ু হয় তাঁর। অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও, সেই অভিযোগ অস্বীকার করে শাসক শিবির। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইএসএফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই মৃত্যু ঘটেছে। কদম্বগাছিতে নির্বাচনের পর প্রথম খুনের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ টালবাহানার পর নিহত আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে সাক্ষাত্ করতে আসেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ও মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল। এরপর, বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল হাসানুরের বাড়ি যান। মৃতের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের তলব করা শুরু করল সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে মোট ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসার বা আইও-র মধ্যে ইন্সপেক্টর, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন কর্তা রয়েছেন এই দলে। জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার এই ২৫ জন অফিসার।
প্রত্যেক জোনের টিমে ২১ জন করে তদন্তকারী অফিসার বা আইও। ইতিমধ্যেই রাজ্যে পৌঁছেছেন ৪ যুগ্ম অধিকর্তারা। পৌঁছেছেন বেশিরভাগ ডিআইজি ও এসপি। রাজ্যে ১৫ টি খুন এবং ৬ টি ধর্ষণের মামলায় ২৭ অগাস্ট ১১টি এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। খুন, খুনের চেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র রাখা, অপহরণ, অনুপ্রবেশের মতো একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরগুলি দায়ের করা হয়। গত শনিবার আরও ১০টি এফআইআর দায়ের করা হয়। ২৯ অগস্ট আরও সাতটি এফআইআর দায়ের করা হয়। পরে আরও দুদফায় চারটি ও তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়।
এদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই-এর তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। যদিও এতে খুব একটা লাভ হতে পারে, এমন কোনও সম্ভাবনা দেখছে না আইনজীবী মহল। কারণ, ভোট পরবর্তী হিংসার রায় ঘোষণার সময় বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ভিন্ন হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু একটি বিষয়ে সকলেই সহমত হন। তা হল- খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধের তদন্ত যেন সিবিআই দ্বারা করা হয়। ঠিক এই জায়গাতেই সুপ্রিম কোর্টে গেলেও রাজ্য়ের আপত্তি ধোপে নাও টিকতে পারে। আরও পড়ুন: গাড়ির চালকের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’, আদালতে আত্মসমর্পণ বিজেপি বিধায়ক চন্দনার