North Dinajpur: কলেজ ছাত্রীর অবস্থা থেকে ভয়ে কাঁটা বাড়ির মালিক, দরজা ভাঙতেই থ এলাকার লোকজন
North Dinajpur: স্থানীয় সূত্রে খবর, কলেজের পাশে এক শিক্ষকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই ছাত্রী। গত মাস তিনেক ধরে তাঁর ঠিকানা ছিল সেটাই। রোজাকার সকালে উঠলেও এদিন বেলা বাড়লেও তিনি দরজা খোলেননি। তাঁতেই সন্দেহ হয় বাড়ির মালিকের।
উত্তর দিনাজপুর: তিলোত্তমা কাণ্ডে উত্তাল দেশ। উত্তাল বাংলা। জ্বলছে আগুন। প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে দিকে দিকে। হয়েছে নবান্ন অভিযান। ডাক দেওয়া হয়েছে বাংলা বনধের। এরইমধ্যে আবার আইটিআই কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেল ইসলামপুরে। মৃত ছাত্রীর নাম রূপা সিনহা (২১)। তাঁর বাড়ি মালদহ জেলার পাকুয়া কেন্টপুকুর এলাকায়। মঙ্গলবার ইসলামপুরের শহরের কলেজ পাড়া এলাকা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কিন্তু, এটা আত্মহত্যা নাকি খুন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকার লোকজনকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কলেজের পাশে এক শিক্ষকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই ছাত্রী। গত মাস তিনেক ধরে তাঁর ঠিকানা ছিল সেটাই। রোজাকার সকালে উঠলেও এদিন বেলা বাড়লেও তিনি দরজা খোলেননি। তাঁতেই সন্দেহ হয় বাড়ির মালিকের। ডাকাডাকি শুরু হয়। কিন্তু, কারও কোনও সাড়াশব্দ না মেলায় বাড়তে থাকে সন্দেহ। ততক্ষণে বাড়ির সামনে ভিড় করেছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা।
ঠিক হয় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকা হবে। ভাবনা মতোই কাজ। কিন্তু, দরজা ভেঙে ভিতরে যেতেই চোখ কপালে উঠে যায় এলাকার লোকজনের। দেখা যায় ঘরের মধ্যেই ঝুলছে ওই ছাত্রীর দেহ। আতঙ্কের আবহেই খবর যায় পুলিশে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদা। খবর যায় ছাত্রীর বাড়িতে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশের বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া যাবে।