AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Job Scam: আর্থিক অবস্থা খারাপ! ব্যাঙ্কে চাকরির আবেদন করে বাবার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি সদ্য HS পাশ করা দিশানির

Job Scam: দিশানি বলছেন, ওই বিজ্ঞাপনে সাতদিনের মধ্যে চাকরির কথা বলা হয়েছিল। সেই অনুয়ায়ী তিনি আবেদনও করেন। ফর্ম ফিলাপের জন্য প্রথমে ৩০০ টাকা নেওয়া হয়। তারপর গোটা সপ্তাহ ধরে ধাপে ধাপে বেশ মোটা টাকা নেওয়া হয়।

Job Scam: আর্থিক অবস্থা খারাপ! ব্যাঙ্কে চাকরির আবেদন করে বাবার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি সদ্য HS পাশ করা দিশানির
বাম দিকে দিশানি দে, ডানদিকে সুব্রত দে Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2025 | 10:05 AM
Share

বসিরহাট: বাবার কোম্পানির অবস্থা খারাপ। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেই বাবার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছিল মেয়ে। খোঁজ করছিল চাকরির। সংবাদপত্রে ব্যাঙ্কে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগও করে। কিন্তু কে জানত আর্থিকভাবে অসহায় পরিবারের উপর তাই হয়ে উঠবে একেবারে গোদের উপর বিষফোড়া। ঘটনা বসিরহাট থানা এলাকার নৈহাটির। এখানেই বাড়ি সুব্রত দে-র। তাঁর মেয়ে দিশানি দে। তাঁর সঙ্গেই ঘটে গিয়েছে এই ঘটনা। অভিযোগ দায়ের হয়েছে বসিরহাট সাইবার ক্রাইম থানায়। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল? 

দিশানি বলছেন, ওই বিজ্ঞাপনে সাতদিনের মধ্যে চাকরির কথা বলা হয়েছিল। সেই অনুয়ায়ী তিনি আবেদনও করেন। ফর্ম ফিলাপের জন্য প্রথমে ৩০০ টাকা নেওয়া হয়। তারপর গোটা সপ্তাহ ধরে ধাপে ধাপে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এমনকি যে ব্য়াঙ্কের নাম করে ওই বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল সেই ব্যাঙ্কও সকলেরই চেনা। দিশানি বলছেন, “আমি এবারই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছি। আমার বাবার কোম্পানিতে সমস্যা চলছিল। সে কারণেই আমি কাজের খোঁজ করছিলাম যাতে বাবার পাশে দাঁড়ানো যায়। খবরের কাগজে একটা বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করি। ওখানে সাতদিনের মধ্যে জয়েনিং লেখা ছিল। ওদের দেওয়া নম্বরে ফোন করতেই এক ব্যক্তি ব্যাঙ্কে চাকরির কথা বলেন। ফর্ম ফিলাপের জন্য প্রথমে ৩০০ টাকা চায়। পরবর্তীতে মোট ২৯ হাজার টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু আমরা বুঝতে পারি কিছু একটা ফ্রড হচ্ছে।”

বাবা সুব্রত দে বলছেন, “সাতদিনের মধ্যে চাকরি হয়ে যাবে বলে একটি সংবাদপত্রে একটি নামী ব্যাঙ্কের নাম করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। ওটা দেখেই আমার মেয়ে আবেদন করেছিল। তারপরই ধাপে ধাপে টাকা চাইতে শুরু করে। এক সপ্তাহে মোট ৩০ হাজার টাকা নেয়। বারবার টাকা চাওয়াতেই আমাদের সন্দেহ হয়।”