Shyamnagar Murder: ৩ দিন পর ফের গৃহবধূ খুন শ্যামনগরে! নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে ঝুলিয়ে দিল স্বামী
North 24 Pargana: ছেলের সামনেই মাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলে অভিযুক্ত।
শ্যামনগর: ফের গৃহবধূ হত্যা শ্যামনগরে। নেশার টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ছেলের সামনেই মাকে খুন করল স্বামী। ঘটনার পর পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত স্বামীকে।
জগদ্দল থানার শ্যামনগরের বিবেকনগর। মৃতার নাম রীনা মণ্ডল(৩৮)। অভিযুক্ত স্বামী শম্ভু মণ্ডল। পেশায় সে দিনমজুর।
মৃতার বোন লতা রায়ের অভিযোগ, জুয়া খেলা ও মদ্যপানের জন্য প্রতিদিন স্ত্রীর কাছে টাকা চাইত শম্ভু। টাকা চাওয়া নিয়ে নিত্যদিন পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকতো।
এদিন সকালে একই বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। মৃতার বোনের অভিযোগ, সেই সময় তাঁর দিদিকে মারধর করে অভিযুক্ত জামাইবাবু। সাত বছরের ভাগ্নার সামনেই দিদিকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেয় সে ।
লতা দেবীর দাবি, তাঁর ভাগ্না পুলিশের কাছে বয়ানও দিয়েছে। এলাকার লোকজন অভিযুক্ত শম্ভুকে পাকড়াও করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। যদিও পরিবারের বাকি সদস্যরা পলাতক। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, স্বামী ছাড়াও রীনাকে প্রতিনিয়ত অত্যাচার করত শাশুড়ি যমুনা মণ্ডল, দেওর, ননদ ও জা।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১ তারিখ অর্থাৎ গত বুধবার শ্যামনগরে খুন হন আর এক গৃহবধূ। বাঁকুড়ার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা পুরকাইত (৩৩)। ২০১৬ সালে শান্তিগড় স্ট্রিটের বাসিন্দা আবির পুরকাইতের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। আবির পেশায় ইছাপুর মেটাল ফ্যাক্টরির কর্মচারী।মৃতার পরিজনদের দাবি, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বিয়ের পর থেকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হত তাঁকে। অভিযোগ, আজ কাজ থেকে ফিরে আবির প্রিয়াঙ্কাকে খুন করে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। এরপর নাটক করে স্ত্রী-কে খুঁজে পাচ্ছে না বলে জানায় আবির।
ওই একই এলাকায় থাকতেন প্রিয়াঙ্কাদেবীর মাসি রানি মণ্ডল। হঠাৎ করে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না দেখে প্রিয়াঙ্কার শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন তিনি। উপস্থিত হন মাসির ছেলের বউও। সম্পর্কে সে প্রিয়াঙ্কার বউদি। তিনিও আবিরকে গিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন কোথায় গিয়েছে প্রিয়াঙ্কা। অভিযোগ, সেই সময় আবির জলের রিজারভারের কাছে গিয়ে বলতে থাকে এইখানেই পড়ে রয়েছে দেহ। এরপরই চিৎকার শুরু হয়। আশেপাশের লোকজন এলাকায় জমায়েত করতে শুরু করেন। গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বাড়ীটিকে ঘিরে রাখেন।