মদনের এলাকায় তৃণমূল কর্মীকে গুলি, বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারের ঘটনায় জালে ৬
Kamarhati Shootout Case: ধৃতদের আজই বারাকপুর আদালতে পেশ করা হবে। এই ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
উত্তর ২৪ পরগনা: কামারহাটিতে (Kamarhati Shootout Case) তৃণমূল কর্মীকে গুলি ও কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার ৫। রাতভর তল্লাশিতে উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতা লাগোয়া বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আজই বারাকপুর আদালতে পেশ করা হবে। ধৃতদের নাম বিপ্র মণ্ডল, তন্ময় বোস, রফিক আলি, সনু কুন্ডু, সুভাষ গমোস্তা ও ঋতুরাজ চক্রবর্তী |এই ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাত ১০ টানা নাগাদ। কামারহাটি বিধানসভা এলাকার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভার মোড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় কর্মীরা বসেছিলেন। অভিযোগ সে সময় ৭-৮ টি চেপে জনা কুড়ি যুবক কার্যালয়ের সামনে আসে। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য অনুযায়ী, কোনও রকম প্ররোচনা কিংবা উস্কানি ছাড়াই আচমকা তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালায় ওই যুবকরা। তৃণমূল কর্মীদের মারতে মারতে কার্যালয়ের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। তাঁদেরই মধ্যে একজন হলেন মানস বর্ধন। দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ, তাঁকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বন্দুকের বাঁট দিয়েও তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
মানস রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে চম্পট দেয়। আকস্মিকতার রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছাড়ে। ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর বক্তব্য, “এলাকার বিজেপির গুন্ডাগিরি চলছে।” স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “মদন মিত্রের ছেলেরাই ঝামেলা করেছে। ভাগ বটরা নিয়ে সব জায়গায় ঝামেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। গুলি গোলা বোমা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করছে। নিজেদের পার্টি অফিসই ভেঙে ফেলছে। টিএমসির কালচার এটা।”