AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Basirhat: কালবৈশাখীর দাপট, মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু গৃহবধূর

Basirhat news: ঝড়ের সময় বছর ৪৬-এর নমিতা মণ্ডল বাড়ির বারান্দায় বসেছিলেন। সেই সময় হঠাৎই মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে আর তাতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় নমিতার।

Basirhat: কালবৈশাখীর দাপট, মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু গৃহবধূর
বসিরহাটে গৃহবধূর মৃত্যু
| Edited By: | Updated on: May 21, 2022 | 10:05 PM
Share

বসিরহাট : শনিবার সন্ধে নামতেই শুরু হয় কালবৈশাখী। সঙ্গে শুরু হয় তুমুল ঝড়বৃষ্টি। আর তার জেরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়ির মাটির দেওয়াল। তাতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় গৃহবধূর। মৃতার নাম নমিতা মণ্ডল (৪৬)। শনিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের সন্দেশখালি থানা এলাকার খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাটগাছা গ্রামে। ঝড়ের সময় বছর ৪৬-এর নমিতা মণ্ডল বাড়ির বারান্দায় বসেছিলেন। সেই সময় হঠাৎই মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে আর তাতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় নমিতার। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন মৃতার স্বামী প্রশান্ত মণ্ডলও। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ওই দম্পতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক নমিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সন্দেশখালি থানার পুলিশ ওই গৃহবধূর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মাটির বাড়ির দেওয়ার ভেঙে এই মৃত্যুর ঘটনায় হাটগাছা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই ঘটনায় খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সত্যজ্যোতি সান্যাল বলেন, “তিনি মাটির ঘরে ছিলেন। হঠাৎ যখন প্রচণ্ড বেগে ঝড় শুরু হয়, তখন মাটির ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে তিনি মারা যান। স্থানীয় গ্রামবাসীরা তৎপরতার সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় মৃতার পরিজনদের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই। তাঁর পরিবারের পাশে আমরা আছি।”

বর্ষার মরশুমে, বিশেষ করে এমন মুশল ধারে বৃ্ষ্টির সময় যাঁদের মাটির বাড়ি, তাঁদের প্রতি মুহূর্তে আশঙ্কার মধ্যে দিয়ে কাটে। অতীতেও একাধিকবার রাজ্যে এমন দুর্ঘটনা দেখা গিয়েছে বাংলায়। এবার বর্ষার মরশুম শুরু হতেই ফের একবার সেই একই দুর্ঘটনা। মাটির ঘরের দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। শনিবারের এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। বর্ষার মরশুমে এভাবেই প্রাণ হাতে করে দিন কাটাতে হয় মাটির ঘরে বসবাসকারী মানুষদের।